বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, সজীবের রক্ত কোনো অবস্থায় বৃথা যাবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা আন্দোলনে জয়ী হবো। আমাদের দাবি একটা, এই সরকারে পদত্যাগ ছাড়া দেশের কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এই দাবিতে সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দিয়ে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নেবো। এই দাবিতে ২৪ আগস্ট থেকে আমাদের আন্দোলন চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোকর্যালী পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালী শুরু হয়। ‘লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজীব হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে’ এই র্যালীর আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
তিনি বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে। কিন্তু এই সরকারের কাছে কোনো দাবি করবো না। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সজীব হোসেনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এটা ওদের ( আওয়ামী লীগ) পরিকল্পিত। কারণ সরকার বিরোধী দলশূন্য করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না। কিন্ত এই সংবিধানের অধিনে জনগণের রায় প্রতিফলন হবে না। তাই নিরপেক্ষ সরকার দরকার। আর যে পথ দিয়ে রাতে-ভোরে, জনগণ ও ভোটার ছাড়া নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচন তারা করতে চান। এই নির্বাচন ওবায়দুল কাদের ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পছন্দ। সরজমিনে দেখা গেছে, শোকর্যালী ঘিরে দুপুর ২টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও কালো পতাকাসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় তারা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। র্যালী থেকে আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, সজীবের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্তসহ বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন নেতা কর্মীরা।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবেদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তাইফুল ইসলাম টিপু, ইশরাক হোসেন, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাজীব আহসান, কৃষকদল নেতা হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদল নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।