মোদি যাদের পদবী হয়, তারা সবাই চোর হয় কেন বলতে পারেন- কর্ণাটকের কোলারে এক জনসভায় এই প্রশ্নটি তুলেছিলেন তদানীন্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল। এরপরই গুজরাটের বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি সুরতের আদালতে মানহানির মামলা করেন। সুরাট আদালত রাহুলকে মানহানির দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করে দুবছরের জেল দেয়। রাহুলের সংসদ সদস্য পদ যায়। সংবিধানের আট/ তিন ধারা অনুযায়ী তার আট বছর নির্বাচন লড়ার অধিকার হারাম। রাহুল সম্প্রতি গুজরাট হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারাও নি¤œ আদালতের আদেশই বহাল রাখে। রাহুল এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শনিবার তাঁর অনলাইন আবেদনের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুর জানিয়েছেন যে রাহুলের আবেদন গৃহীত হয়েছে।
বিচারপতি ডি এল গাভাই এবং বিচারপতি পি কে মিশ্রর ডিভিশন বে শুনানির পর রায় দেবে। রাহুল গান্ধী তাঁর আবেদনে বলেছেন, কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো না। তিনি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ইন জেনারেল ওই কথা বলেছিলেন। কিন্তু, এরপর তাঁর জন্য যে শাস্তি বরাদ্দ হয় তা বেশ কঠিন হয়। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এর জন্য বিপন্ন। ১১১ দিন ধরে তিনি যন্ত্রণা ভোগ করছেন। সাজা বহাল থাকলে তিনি আট বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। এটা তাঁর জন্যে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। রাহুল মানহানির মামলায় এত বড় শাস্তি সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন। অর্থাৎ আগামী ৪ঠা আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত হবে রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ।