দু’দিন কিছুটা মূল্য সংশোধনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আবারও দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে প্রধান মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। বিমা খাতের কোম্পানিগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও বিপরীতে পথে হেঁটেছে অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে দাম কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচকে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে বাজারটিতে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখাতে থাকে বিমা খাত। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতাও বাড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে একাধিক বিমা কোম্পানির দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে বিমা খাতের ৪৩টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর সব খাত মিলে ডিএসইতে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এই দুটিই বিমা কোম্পানি। বিমা কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানোর দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মূল্য সূচকে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৭৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারে। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৩১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, লিগাসি ফুটওয়্যার, জেমিনি সি ফুড এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫১টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।