খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট না হওয়া এবং উৎপাদন খরচও কম হওয়ায় পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মালচিং পেপার ব্যবহার করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে স্থানিয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ’জাকস ফাউন্ডেশন’ কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছেন। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে বীজ রোপনের জায়গা টুকু ফাঁকা রেখে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং শেড দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এতে অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়না। তা ছাড়া এ পদ্ধতিতে ফসল চাষ করলে উৎপাদন খরচও কম হয়।
জয়পুরহাট জেলায় পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য শসা ও তরমুজ চাষে বর্তমানে পুরোপুরি মালচিং পেপার ব্যবহার করছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার গোপালপুর, ফরিদপুর, তেকানা ও কোচকুড়ি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মাঠে কৃষকরা মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষ করছেন। গোপালপুর গ্রামের কৃষক মুকুল, তেকানা গ্রামের মাহমুদ, কোচকুড়ি গ্রামের বিপ্লব জানান, মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষে অধিক ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি থাকে। গোপালপুর, ফরিদপুর, তেকানা ও কোচকুড়ি গ্রাম এলাকায় এবার প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে শসা চাষ হচ্ছে বলে জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন।
মালচিং পদ্ধতিতে ফসল চাষের জন্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের কথা জানান, জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন। মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষে মাটির গুণাগুণ রক্ষা হওয়ার পাশাপাশি অধিক ফসল উৎপাদন করা যায় বলে মন্তব্য করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।