ব্যাট এবং বল হাতে সমান অবদান রাখলেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট হাতে ২১ বলে করলেন ৩০ রান। এরপর বল হাতে ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। সাকিবের এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বি-লাভ ক্যান্ডিকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে গল টাইটান্স। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পেলো গল টাইটান্স। আগের ম্যাচ যদিও ছিল টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গিয়ে জয় পেয়েছিলো সাকিবের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে গলের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাই গড়ে তুলতে পারেনি বি-লাভ ক্যান্ডি। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছিলো গল টাইটান্স। জবাব দিতে নেমে ১৭.১ ওভারে ৯৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় বি-লাভ ক্যান্ডি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শেভন ড্যানিয়েল এবং লাসিথ ক্রুসপুলে মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। যদিও ১৪ বলে ১১ রান করে ক্রুসপুলে এবং ভানুকা রাজাপাকসে ৭ বলে ৪ রান করে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। ৬০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকতে শুরু করে গল টাইটান্স, তখন জুটি বাধেন টিম শেইফার্ট এবং সাকিব আল হাসান। এই জুটি টাইটান্সকে নিয়ে যায় ১৫৫ রান পর্যন্ত। ৯৫ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা দু’জন। এ সময় রানআউট হয়ে যান সাকিব। ২১ বলে ২ ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি।
তবে বিধ্বংসী রূপে ছিলেন টিম শেইফার্ট। ৩৯ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ছক্কায় তিনি করেন ৭৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে গল টাইটান্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮০ রান। আমির জামাল, মোহাম্মদ হাসনাইন এবং ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা মিলে নেন ১টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বি-লাভ ক্যান্ডি। মিডল অর্ডারে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন আসেনা বান্দারা। ১৬ রান করেন ইসুরু উদানা এবং ১২ রান করেন থানুকা দাবারে। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বি-লাভ ক্যান্ডি। গল টাইটান্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা, রিচার্ড এনগারাবা, তাবরিজ শামসি এবং সাকিব আল হাসান। ১টি করে উইকেট নেন লাহিরু সামারাকুন এবং আকিলা ধনঞ্জয়া।