বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অফিসারদের নিয়ে ইনভেস্টমেন্ট প্রসিডিউর বিষয়ক প্রশিক্ষণ কমসুচি রাজশাহীতে ‘জাল নোট সনাক্তকরণ ও প্রচলন প্রতিরোধে’ আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মশালা বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক নারীদের গৃহস্থালির কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের লিচু সাতক্ষীরায় রেমালের ব্যাপক তান্ডব ; ঢাল হয়ে রক্ষা করেছে সুন্দরবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ঈদে ১৫’শ কোটি টাকার পশু বেচাকেনার আশা সরকারের কাছের লোকেরাই সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট কাটছে : নজরুল ইসলাম এ সরকার দেশের অর্থনীতিকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে : রিজভী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

অসময়ে বেগুন চাষ করে লাভবান গোপালগঞ্জের কৃষক সিরাজ

বাসস :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অসময়ের বেগুনের চাষ করে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চারগোবরা গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজ শেখ (৫২)।
তিনি প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সপ্তাহে ২ দিন তিনি ক্ষেত থেকে ৪ মণ করে বেগুন তুলে বজারজাত করছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট বাজারের দু’ হাটে তিনি প্রায় ২০ হাজার বেগুন বিক্রি করছেন। কৃষক মোঃ সিরাজ শেখের বেগুনের সাইজ ও গুণগতমান বেশ ভালো। খেতে সুস্বাদু। তাই বাজারে তার বেগুনের চাহিদা ব্যাপক। এ বেগুন হাট-বাজারে একটু বেশি দামেই বিক্রি হয়। বিগত ৫ বছর ধরে তিনি তার জমিতে পাটের পরিবর্তে অসময়ের বেগুন চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে আসছেন। বাজারে এ সময়ে বেগুনের আমাদনী কম থাকে। তাই বেগুনের বাজার দর ভালো পাচ্ছেন কৃষক মোঃ সিরাজ শেখ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চারগোবরা গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজ শেখ বলেন, আমি ১ একর জমিতে আগে পাটের চাষ করতাম। পাটে ১ একরে খরচ বাদে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হত। তাই ৫ বছর আগে আমি পাটের চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছি। তারপর থেকে ওই ১ একর জমিতে অসময়ের বেগুনের চাষ করে আসছি। ১ একর জমিতে বেগুন চাষবাদে আমার ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ইতিমধ্যে আমি ১ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এ ক্ষেত থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারব। বেগুনে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। পাটের তুলনায় বেগুন চাষে লাভ তিন গুণেরও বেশি হবে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। অধিকদামে অসময়ের বেগুন বিক্রি করে আমি লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারছি। বেগুন সাধারনত শীতের ফসল। গরমে বেগুন চাষাবাদে ব্যাপক পরিচর্যা করতে হয়। তাই এ সময়ে বেগুন চাষ খুব কম হয়। এ কারণে বাজারে বেগুনের আমাদনী কম থাকে। তাই আমি অসময়ে বেগুন উৎপাদন করে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছি ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, মোঃ সিরাজ শেখ ১ একর জমিতে ৪২২ ও ভাঙ্গ জাতের বেগুন আবাদ করেছেন। ক্ষেতে ফেরোমন ফাঁদ বসানো হয়েছে। তাই কৃষকের কীটনাশক খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। কম খরচে কৃষক বেগুনের ভালো ফলন পাচ্ছেন । এছাড়া বাজারে বেগুনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে কৃষক বেগুনের ভালো দাম পাচ্ছেন। পাটের পরিবর্তে তিনি বেগুনের আবদ করে অধিক টাকা ঘরে তুলছেন। অসময়ের বেগুন তাকে অর্থিকভাবে লাভবান করছে।
চর গোবরা গ্রামের কৃষক মোঃ আয়ূব আলী বলেন, সিরাজ শেখ ৫ বছর ধরে ভালো সাইজ ও মানের বেগুন উৎপাদন করছেন। তিনি বেগুন উৎপাদনে খুবই কম মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করেন। ফেরোমন ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকারক পোকা দমন করেন। তাই তার ক্ষেতে উৎপাদিত বেগুন খুবই সুস্বাদু। তিনি উৎকৃষ্টমানের বেগুন উৎপাদনের সুনাম অর্জন করতে পেরেছেন। তাই বাজারে তার বেগুনের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একটু বেশি দামে বেগুন বিক্রি করে লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া বাজারের সবজি ক্রেতা আলীম চৌধূরী বলেন, বাজারে কৃষক মোঃ সিরাজ শেখের বেগুনের নাম ডাক রয়েছে। তার এ সুনামের জন্য আমরা বেশি দামে তার কাছ থেকে বেগুন ক্রয় করি। তার বেগুন কেয়ালিটি সম্পন্ন। আমাদের মতো ভোক্তার কাছে সিরাজ শেখের বেগুন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com