গজারিয়া উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও প্রধান শিক্ষকদেরকে সম্মাননা দিয়েছে গজারিয়ায় গজারিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি। শনিবার সকাল ১১টায় গজারিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৭০০ মেধাবী শিক্ষার্থী ও সেই সাথে গজারিয়া উপজেলার সকল মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এবং গুণিজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের শুরু থেকেই জাতির পিতার জীবন ও আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। শুধু জিপিএ-৫ পেলেই চলবে না, সুনাগরিক ও ভালো মনের মানুষ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার, সোনার মানুষ হতে হবে। নিজের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার ৬৭২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে বই বিতরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব আরোপ করে নানা কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকুরি সরকারি করেন। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গজারিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি আয়োজিত গজারিয়া উপজেলার এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গজারিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা ড. এম এ মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুলাহ আল মাহফুজ, শিক্ষাবিদ হাফিজ আহমদ, গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: জাকির হোসেন। বক্তৃতা করেন লেখক আবু সুফিয়ান ও প্রকৌশলী জাকির হোসেন। অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, পরিবারই সন্তানদের নৈতিকতা শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান। আপনার সন্তান যেন অসৎসঙ্গ, মাদক, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী ও সমাজবিরোধী কোন কাজে না জড়ায়। সন্তানেরা যেন স্মার্ট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ভালো দিক গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জন করে সে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য সন্তানে কোথায়, কাদের সাথে কখন যায় সে বিষয়ে নিজের কর্মব্যস্ত জীবনেও তা খেয়াল করতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে গজারিয়া উপজেলার সাতশত এসএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।