এলজিইডির বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করে তাকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা করেছে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদাররা। রবিবার সকালে নগরীর বান্দ রোডস্থ এলজিডির কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয় নির্মানের জন্য বেইজ ঢালাই থেকে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত এবং সর্বশেষ ফাইনাল বিলের প্রত্যয়নের জন্য সর্বনিম্ম সোয়া লাখ টাকা থেকে দুই লাখ টাকা শেখ মিজানুর রহমানকে দিতে হয়। নতুবা সাইড পরিদর্শনের নামে বিভিন্নরকম ত্রুটি বের করে মোটা অংকের টাকা দাবী করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনেক সময় ফাইনাল বিলে ২০ পার্সেন্ট টাকা কম রাখলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জবাবদিহি করান। তার কারনে বিদ্যালয়গুলো হস্তান্তর করতে দেরি হচ্ছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। ঠিকাদার মোঃ নাসির চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানবন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার মোঃ শাহীন, হাসানাইন আহমেদ, মজিবর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান ২০০৭ সালে ঘুষের টাকাসহ পিরোজপুরে গ্রেপ্তার হয়ে দুই মাস কারাভোগ করেছেন। বর্তমানে তিনি (মিজানুর রহমান) প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারদের বিভিন্ন ধরনের বাঁধা প্রদান করছেন। তাই শেখ মিজানুর রহমানকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারন করা না হলে জেলার প্রথম শ্রেনীর সকল ঠিকাদাররা বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। পরবর্তীতে এসব লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, দুদকের উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরন করেছেন ঠিকাদাররা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমান নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি প্রতিটি কাজ নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করায় এবং কতিপয় অসাধু ঠিকাদাররা আমার মাধ্যমে অবৈধ সুযোগ নিতে না পারায় মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারদের অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।