রৌমারীতে ধান বোঝাই নৌকা ও শ্যালো মেশিন ডুবে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামসহ নৌকার মালিক আবু সাঈদ পাগলার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতিতে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। ৯ অক্টোবর সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় যাদুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর এলাকা জিঞ্জিরাম নদীতে রাবার ড্যাম ব্রীজের নিচে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, দুপুরের পর যাদুরচর ইউনিয়নের লাঠিয়াল ডাঙ্গা, খেওয়ারচর, আলগারচরসহ বিভিন্ন গ্রামের থেকে ১৭৫ মন ধান ক্রয় করে জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে শ্যালো মেশিনের নৌকায় বোঝাই করে সায়দাবাদ বিক্রিরবিল নৌকা ঘাটে নেয়ার পথে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে খোর ¯্রােতের সৃষ্টি হয়। এতে খেওয়ারচর রাবার ড্যাম ব্রীজের কাছে এলে এ খোর ¯্রােতে নৌকার নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে ব্রীজের পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে সঙ্গে সঙ্গে নৌকাটি ভেঙ্গে ধানসহ তলিয়ে যায়। নৌকার মাঝিরা সাতার কেটে বেচে গেলেও ধান ও নৌকাসহ শ্যালো মেশিনটি বাচাতে পারেনি। এবিষয়ে ধান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, অল্প পুজি নিয়ে আমি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করে আসছি। লাঠিয়ালডাঙ্গা খেওয়ারচর, আলগারচরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের কাছ থেকে ১৭৫ মন ধান ক্রয় করে নৌকার মাধ্যমে সায়দাবাদ ঘাটে এনে ট্রাক বোঝাই করে রাইসকল মিলে দেওয়ার জন্য আনা হচ্ছিল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। রাবার ড্যাম ব্রীজের নিচে খোর ¯্রােতে নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে নৌকাটি পিলারের সাথে লেগে ডুবে যায়। এতে আমার প্রায় সোয়া দু’লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার যেটুকু পুজি ছিল সব টুকুই পানিতে ভেসে গেলো। বর্তমানে আমার উপায় নেই। নৌকার মালিক আবু সাঈদ পাগলা বলেন, খোর ¯্রােতে ধাক্কায় নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে ব্রীজের পিলারের সাথে লেগে নৌকাটি ভেঙ্গে ডুবে যায়। আমি গরিব মানুষ। আমার একমাত্র আয়ের উৎস নৌকাটি। আমার খুব বিপদ হয়ে গেলো। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কি উপায়ে চলবো।