সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

রামগতিতে ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার না করায় দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

গোলাম রাব্বানী (রামগতি) লক্ষ্মীপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার না করায় ২০ হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রাস্তায় চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের। রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত এবং পূর্বের রাস্তার ইটের সলিং উঠে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাদের পথচলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘবছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। যার কারনে অনেক বছর যাবৎ ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনও চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের বিবিরহাট এলাকার চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন শীলকোপ-চৌমুহনী বাজার সড়কের সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। রাস্তার বেশির ভাগ অংশ এখন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে পড়ে রয়েছে। আবার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তার আশেপাশে রয়েছে, ভুঁইয়ারহাট, চৌমুহনী বাজার, বিবিরহাট, ভুঁইয়ারহাট সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবিরহাট রশিদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়,মজিবীয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা, চৌমুহনী বাজার নুরানী মাদরাসা, আযাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, চৌমুহনী বাজার জামে মসজিদ, বায়তুল আমান জামে মসজিদ, মাওলানা পাড়া জামে মসজিদ, হাজি আব্দুল গফুর জামে মসজিদ, ভুঁইয়াহাট জামে মসজিদ, পুর্ব চররমিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদ, বিবিরহাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চররমিজ ইউনিয়ন ভূমি অফিস। চররমিজ ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী এ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার বেহালদশায় উদ্বীগ্ন হয়ে উঠে সাধারণ মানুষ।
এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারন তাদের দীর্ঘ ভাঙ্গা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারনে স্কুল-মাদরাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মত শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না। স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা জাফর আহমদ জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থার কারনে এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। রাতে স্থানীয়দের চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আযাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানজুর আহমাদ জানান, এ রাস্তাটি যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতের অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও কমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় দিলদার আহমদ, মোঃ হেলাল আহমাদ, সবুজ মিয়া জানান, রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের রোগী নিয়ে হাসপাতাল ও বাজার যেতে পারছেনা। স্কুল শিক্ষার্থী বিবি আয়েশা, রাবেয়া আক্তার জানান, ভাঙা রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় পাঁ মুচকিয়ে নানা দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। যার কারনে স্কুলে যেতে তাদের খুবই কষ্ট হয়। তারা রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয় চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, এটা ঠিক যে, ওই রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আমি পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ওই রাস্তার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com