যান্ত্রিক ট্রাক্টরের এই যুগে গরুর হাল চোখে পড়ে না বললেই চলে। সেখানে খোলা প্রান্তরে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন এনামুল হক নামে এক কৃষক। ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে রণক্ষেত্রের পাশাপাশি মালপত্র বহন ও মানুষের বাহনে ঘোড়া ব্যবহৃত হয়ে এলেও কালের পরিক্রমায় তা বিলুপ্তির পথে। গত সোমবার পাঁচবিবি উপজেলার চম্পাতলী এলাকায় ঘোড়া দিয়ে জমিতে হাল চাষ করতে দেখা গেছে। তবে এখনও পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা এলাকার কৃষক এনামুল হক ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। প্রতি বিঘা জমি ৫শ’ টাকায় তিনি চাষ করছেন। এতে ঘোড়ার খাদ্য জোগানের পাশাপাশি তার পরিবারের খরচের চাহিদাও মেটান তিনি। এনামুল হক জানান, গরুর চেয়ে ঘোড়া বেশি হাঁটে-চলে। ফলে একই সময়ে তিনগুন বেশি জমি চাষ করা যায়। একদিনে দুই বিঘা জমিতে হালচাষ করা যায়। প্রতিদিন সকাল ৮টায় শুরু করে বিকেল পর্যন্ত জমি চাষ করে যেই টাকা আয় হয় তা প্রতিদিন ঘোড়ার খাদ্য বাবদ খরচ হয় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো মিটছে। জমি চাষ মৌসুম শেষে ঘোড়া দিয়ে গাড়ি চালাবেনও তিনি। তিনি আরো বলেন, পালিত দুটি ঘোড়ার খাবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সাংসারিক অভাব অনটন পশু প্রাণী বুঝবেনা। তাই বহু চিন্তা ভাবনা করে জমি চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যের জমি বিঘা প্রতি ৫শ’ টাকা হারে চাষ শুরু করেছেন। বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, আধুনিক এই যুগে যখন গরু দিয়ে হাল চাষ চোখে পড়েনা, তখন ঘোড়া দিয়ে হাল চাষের ঘটনা তো বিরলই। ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করা দেখে সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়। ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ এলাকায় নতুন। তাই তা দেখতে এলাকাবাসীও ভীড় করছেন প্রতিদিন।