জেলায় শীতকালীন পেঁয়াজ চাষে বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ পাচ্ছেন ৫২০ জন কৃষক।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৫ উপজেলার ৫২০ জন কৃষক সার-বীজ পাবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-রিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ১০০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক পেঁয়াজে প্রণোদনা পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ১ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূলে বিতরণ করা হবে। সেজন্য ৫২০ কেজি বীজ, ৫ হাজার ২০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ হাজার ২০০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বরাদ্দের চিঠি এসেছে বলে ওই কর্মকর্তা বাসসকে জানান।
তিনি জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১০ কেজি বীজ, ১ হাজার ১০০ কেজি ডিএপি সার ও ১ হাজার ১০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫০ কেজি বীজ, ১ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও ১ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১০০ কেজি বীজ , ১ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮০ কেজি পেঁয়াজ বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৮০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় ৮০ কেজি বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৮০০ কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক ৫২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করবেন। পেঁয়াজের আবাদ করে কৃষক পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এর মাধ্যমে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে । সার-বীজ বিতরণের বিষয়ে জেলা মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর উপজেলা পর্যায়ে এসব সার-বীজ কৃষকের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের কৃষক আবদাল রহমান (৫৫) বলেন, এ বছর পেঁয়াজের বাজার দর বেশ ভাল। তাই আমি বরি মৌসুমে অন্তত ১০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করব। এতে এক দিকে যেমন দেশের পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অধিক পেঁয়াজ উৎপাদন করে আমি লাভবান হব।