ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ভোলার সাত উপজেলায় চার শতাধিক বসতঘর। এর মধ্যে ৭৩টি বসতঘর পুরো ও ৪২৬ বসতঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ৪৭ হাজার ৫৮২ হেক্টর জমির আমন ধান ও ছয় হাজার ৮১ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি এর প্রভাবে মেঘনা উত্তাল হয়ে প্রবল স্রোতের মুখে পরে তজুমদ্দিন ও মনপুরায় তিনটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা মিয়া নামে এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, বসতঘর বিধ্বস্ত পরিবারের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরবর্তীতে সরকারিভাবে সহযোগীতা করা হবে। এছাড়া ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলে বাদশা মিয়াকে খোঁজার জন্য কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড নিখোঁজ জেলের সন্ধানে কাজ করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর জাগো নিউজকে বলেন, অতি বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে প্রায় ৪৭ হাজার ৫৮২ হেক্টর আমন ধান নুয়ে গেছে ও পানিতে ডুবে আছে। তবে এতে আমনের ক্ষতি বেশি হবে না। পানি কমে গেলে আমন ধান আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমন ধান ও শীতকালীন সবজীর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। আশা করি এতে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।