২০ নভেম্বর সোমবার দিনাজপুর সদরের ব্রাক লার্নিং সেন্টার মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত এবং কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগীতা সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং ইন মেটারনাল এন্ড চাইলড হেলথ এন্ড নিউট্রিশন-কৈকা প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান একটি আড়ন্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। প্রকল্প সমন্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার জগন্ময় পাজেস বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি মা ও শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাহারোল উপজেলার ডাবর, রসুলপুর, সুন্দরপুর এবং তারগাঁও ইউনিয়নে ২০২১ সালে একটি সমন্বিত কর্মসুচীর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল। ২০২৩ সালের শেষে এসে প্রকল্পটি তার লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রকল্পের শুরুতে অনেকগুলো লক্ষ্য পরিমাপের সুচক নির্ধারণ করা হয়। তার মধ্যে ২টি সুচক ছিল যেমন ৫ বছরের নিচের শিশুদের উচ্চতার তুলনায় ওজনের যে ঘাটতি রয়েছে তার শতকরা হার কমিয়ে আনা, ২.৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ৭ প্রকার খাবার হতে ৪ প্রকারের খাবার খাওয়ানোর হার বাড়ানো। উপজেলা কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় শাক-সবজি উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করা। ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে নিরাপদ পানি ও পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করেছে যেখানে শিশুদের দুগ্ধ দানের জন্য রয়েছে আলাদা স্থান। এছাড়া গভীর নলকূপ বসানো, গর্ভবতী ও প্রসূতী মায়েদের জন্য ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম। সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ দেবব্রত রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হৃদয় চন্দ্র রায়, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবু সারফারাজ হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা মুক্তাদির, ওয়ার্ল্ড ভিশন দিনাজপুরের সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজ, ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম মনোয়ারুল ইসলাম, সত্যজিৎ রায়, মোঃ আনোয়ার হোসেন মানিক এবং প্রজেক্টের উপদেষ্টা সিওং লি লিনা। বক্তারা বলেন, প্রকল্পের যৌথ ও সমন্বিত উদ্যোগে কাহারোল উপজেলার টয়লেটগুলো স্বাস্থ্য সচেতনতার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে গ্রামগুলি এখন মডেল হিসেবে কাজ করছে। যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে অর্জন করতে সহায়তা করবে। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকবাল হোসেন ও নমিতা সরকার।