রাজধানী ঢাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক মো. নাহিদ হাসানের ওপর হামলার ঘটনা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে। দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) গতকাল বুধ বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন সিপিজের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক নাহিদ হাসান। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক তাঁর ওপর হামলা চালায়। একটি সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের কাজে গিয়েছিলেন নাহিদ। এই সংঘর্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। সিপিজের এশিয়া প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী বেহ লিহ ই বলেন, সাংবাদিক নাহিদ হাসানকে মারধরের ঘটনাটি গণমাধ্যমের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সর্বশেষ হামলা বলে প্রতীয়মান হয়। বেহ লিহ ই বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগীদের প্রতিহিংসা বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
২১ নভেম্বর জাগো নিউজের এক খবরে বলা হয়, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সংবাদ ২০ নভেম্বর সংগ্রহকালে মো. নাহিদ হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। খবরে আরও বলা হয়, রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং ধানমন্ডি থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক তামজিদ রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সাংবাদিক নাহিদের ওপর হামলা চালান।