দেশের পোশাক খাতের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে নানা ধরনের চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। সংকট উত্তরণে এ খাতের সব অংশীদারদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, ‘ইউএস থেকে ইস্যু আছে আপনারা দেখেছেন যে প্রেসিডেন্ট মেমোরেন্ডাম সাইন করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওরাও ভিজিট করে গেছে, সেটারও প্রেশার। ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্লজ দিয়ে গেছে যে, স্যাংশন হলে পেমেন্টতো দূরের কথা তারা গুডস নেবে না, গুডস দিলেও পেমেন্ট দেবে না । এই ক্লজে আমাদের ব্যাংক এলসি খুলবে না ।’ গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, দেশের পোশাক খাতের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে নানা ধরনের চাপ আসছে। তিনি বলেন, ‘ইউএস থেকে ইস্যু আছে আপনারা দেখেছেন যে প্রেসিডেন্ট মেমোরেন্ডাম সাইন করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওরাও ভিজিট করে গেছে, সেটারও প্রেশার। ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্লজ দিয়ে গেছে যে, স্যাংশন হলে পেমেন্টতো দূরের কথা তারা গুডস (পণ্য) নেবে না, গুডস নিলেও পেমেন্ট দেবে না। এই ক্লজে আমাদের ব্যাংক এলসি খুলবে না।’ গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সংকট উত্তরণে এ খাতের সব অংশীদারদের সহযোগিতা চান তিনি। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো ঋণপত্রের সাধারণ শর্তের মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তারা পণ্য নেবে না। যদি পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, নতুন শর্ত দেওয়ায় দুশ্চিন্তা একটু বাড়ল। কারণ, এতে করে অনেক ব্যাংক মূল ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে না–ও পারে। তার কারণ হচ্ছে, নতুন এই শর্তের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির পর অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকে যায়। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি প্রকাশকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবে, ভয় দেখাবে, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।