আদর্শ ক্রিকেটীয় আচরণবিধি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল তথা আইসিসির পরস্পরবিরোধী ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার উসমান খাজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে খাজা আইসিসির পরস্পরবিরোধী ভূমিকাকে তুলে ধরেছেন। চলতি অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজে তার কিটে গাজাবাসীর প্রতি সংহতির বার্তা দেখিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন খাজা। পার্থে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান প্রথম টেস্ট-এর আগে একটি জুতো পরেছিলেন। যাতে, লেখা ছিল, ‘সকল জীবনের প্রতিই সম্মান দরকার’, ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার’। এজন্য আইসিসি অজি ক্রিকেটারকে সতর্ক করেছিল। জানিয়েছিল, ম্যাচের সময় ওই সব বার্তা প্রদর্শন করলে নির্বাসন অবধারিত।
খাজা আইসিসির নির্দেশ মেনে নেন। খেলা চলাকালীন এই বার্তা দেয়া জুতো পরেননি। বদলে, নিজের মেয়েদের নাম লিখেছিলেন। একটি কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। সঙ্গে, আইসিসির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা, তার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর বার্তা দিয়েছিলেন। এরপর কয়েক দিন আগে, পূর্ব অনুমতি ছাড়া কালো আর্মব্যান্ড পরায়, আইসিসি খাজাকে তিরস্কার করে। পাল্টা খাজা দাবি করেন যে প্রতিবাদের জন্য নয়। শোক জানাতেই তিনি ওই আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। এতেই না-থেমে বড়দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত কুইনসল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। যাতে আইসিসিকে রীতিমতো তুলোধনা করেছেন। খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত বার্তা মোকাবিলায় আইসিসির পরস্পরবিরোধী ভূমিকাকেও তুলে ধরেছেন।
এই ভিডিওয় খাজা প্রথমে আইসিসির সেই বিধির উল্লেখ করেছেন, যেখানে খেলোয়াড়দের পোশাক এবং সরঞ্জামের নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
তাতে উল্লেখ আছে, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, জাতিগত কারণে কোনও বার্তা প্রকাশের চেষ্টা হলে তা অনুমোদন করবে না আইসিসি। এরপরই ভিডিওটিতে খেলোয়াড়দের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বার্তা প্রদর্শনের তিনটি উদাহরণ খাজা তুলে ধরেছেন। যার প্রথমটি হলো নিকোলাস পুরান-এর ব্যাটের পিছনে একটি ক্রুশের ছবি। দ্বিতীয়টিতে মারনাস ল্যাবুসচেনের ব্যাটের নিচে একটি ঈগল স্টিকার ব্যবহার। যার, উল্লেখ আছে বাইবেলে। তৃতীয় উদাহরণ হল, কেশব মহারাজের ব্যাটে একটি ‘ওম’ প্রতীক।