বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আজকে নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে গরুর হাটের মতো প্রার্থীদের কেনা-বেচা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। বিশ্বের কোথাও বাহাদুরি করে এভাবে আসন কেনা-বেচা ও ভাগাভাগি হয়, কখনো দেখেনি। আজকে নির্বাচনের নামে যাত্রাপালার আয়োজন করছে সরকার। আর নির্বাচন কমিশন যাত্রাপার্টির ভূমিকা পালন করছে। প্রহসনের নামে নির্বাচন নাটক-যাত্রাপালার করে কেউ কোনোদিন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না।
গতকাল বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার আজকে নির্বাচনের নৈতিকতা খেলায় পরাজিত হয়েছে। তারা জানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। এজন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। সরকার হুমকি-ধামকি দিয়ে সাহস সঞ্চার করতে চাইছে, কিন্তু তারা ভেতরে-ভেতরে ভয়ে আছেন
জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার কেউ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্র যাবেন না। কারণ ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল আগেই তৈরি করা হয়েছে। কে কত ভোট পাবে, কত পার্সেন্ট ভোট পড়বে তা তৈরি আছে। কম্পিউটারের টিপ দিলেই জেলায় জেলায় চলে যাবে এবং নির্বাচন কমিশনও সেই ফলাফল প্রকাশ করবে। তাই নির্বাচনের বর্জনের পাশাপাশি এই সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা করতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা রাজ বিশ্বাস করে। রাজ মানে তারা রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়। স্ম্যাট বাংলাদেশ গড়তে চান, তাহলে রাজতন্ত্র চান কেন। সরকার চিরস্থায়ী ক্ষমতা বন্দোবস্ত করতে চায়। আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপিসহ ৫৯টি বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমরা বাকশাল করি না। লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে হত্যা করে সরকারকে পতন ঘটাতে হবে- এমন কথায় বিশ্বাস করি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারায় আন্দোলন চলবে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দুই মাসে বিএনপি মহাসচিবসহ ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কী অপরাধ? একতরফা নির্বাচন করতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে লক্ষাধিক মামলায় ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে বিরোধী দলের ওপর এমন নির্যাতন হয়নি বলেও জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com