এম এ খালেক ও স্বপ্নের ঠিকানা সিনেমার পোস্টারছবি: কোলাজ
ঢাকার মতিঝিলে এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক। পেছন থেকে আরেকটি রিকশার ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। পরে ধরাধরি করে কয়েকজন পথচারী তাঁকে ঢাকার মধুবাগের বাসায় পৌঁছে দেন।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা জানান, এম এ খালেকের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটেছে। মাসখানেক ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দিন পাঁচেক আগে তাঁকে বাসায় আনা হয়।
এম এ খালেকের মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার আগে রাত ৩টার দিকে এম এ খালেকের মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
সালমান শাহ ও শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মিত এম এ খালেকের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছিল। ১৯৯৫ সালের ১১ মে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি প্রযোজনা করেন নুরুল ইসলাম।
প্রায় দেড় দশক ধরে সিনেমা পরিচালনা থেকে দূরে ছিলেন খালেক। তবে মাঝেমধ্যে এফডিসিতে আসতেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। পেশাগত জীবনে পরিচালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরি করেছেন তিনি। জোহরের নামাজের পর মধুবাগে তাঁর জানাজা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেককে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের পর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। তাঁর স্ত্রী সালমা বেগম ও চার সন্তান তানভির আলম, খালেদা আক্তার, ফাতেমা তুজ জোহরা ও সাদিয়া ইয়াসমিন রয়েছেন।