শরীরে চর্বি জমছে। আর দ্রুত বেড়ে চলেছে ওজন। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই নানা রোগ বাসা বাঁধছে দেহে, এমনই একটি রোগ হলো ফ্যাটি লিভার। লিভারে খাবার হজম করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক তৈরি হয়। সেই লিভারেই চর্বি জমতে পারে অনিয়মিত জীবনযাপন ও স্থূলতায় ভোগার কারণে।
বর্তমানে চিকিৎসকরা দুরকম ফ্যাটি লিভারের কথা বলেন। এর মধ্যে একটি হলো অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অন্যটি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। মদ্যপান না করলেও অনেকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন।
আর সেই সমস্যাকেই বলা হয় ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। এ ধরনের লিভারের সমস্যায় কী কী উপসর্গ দেখা দেয় জেনে নিন-
ক্লান্তি: ঘন ঘন ক্লান্তিভাব আসে। কাজ করতে বসলেও এনার্জি থাকে না। এমনকি কখনো কখনো কাজ করতেও ইচ্ছে করে না। আবার মাঝে মধ্যেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজ করতে করতে হাঁফ ধরে যায়। ক্লান্তিভাবের এই উপসর্গগুলো দেখা দেয় ফ্যাটি লিভার হলে।
পেটের ডানদিকে ব্যথা: মাঝে মধ্যেই পেটে হালকা ব্যথা হয়? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ব্যথাকে অনেকে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির ব্যথা বলে মনে করেন। তবে এই ব্যথা লিভারের সমস্যার কারণেও হতে পারে।
বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার থাকলে এই ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। লিভার বুকের ডানদিকে থাকে। চিকিৎসকের কথায়, পেটের এই অংশেই ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। তবে ফ্যাটি লিভার প্রাথমিক স্তরে থাকলে সেই ব্যথা ততটা হয় না।
টান অনুভব করা: ফ্যাটি লিভারে লিভারের আয়তন পাল্টে যেতে থাকে। আকারে বাড়তে থাকে অঙ্গটি। এর ফলে মাঝে মধ্যেই পেটে টান ধরতে পারে। এই টানও ফ্যাটি লিভারের অন্যতম লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার উপসর্গহীনও হতে পারে। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে এই উপসর্গগুলো দেখা যায় না। আর এ কারণে রোগটি ধরা পড়ে না। বরং যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে রোগটি অনেকটাই গেড়ে বসে শরীরে।
তাই উপসর্গগুলোর একটিও দেখা গেলে সতর্ক হওয়া উচিত। চিকিৎসকের কথায়, এই রোগ আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করলে ধরা পড়ে। লিভার ফাংশন টেস্টেও রোগটি ধরা পড়ে। তাতে দেখা যায় উৎসেচকগুলো বেড়ে গিয়েছে। তখনই বোঝা যায় ফ্যাটি লিভার হয়েছে। সূত্র: এবিপি লাইভ