জোরজার মুল্লুক তার আর সেই বেআইনী নীতি অবলম্বন করে প্রতিপক্ষের কলাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত শুক্রবার সাগরকান্দা এলাকায় মৃত আমিরের ছেলে মোঃ আহমেদ হোসেন শাহরিয়ার সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় আনিসুর রহমানের কলা খেতের সকল কলাগাছ কর্তন করে। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এজাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেয় বলে এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সুশীল সমাজের বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। সরেজমিনে যাওয়া জেলার ও স্থানীয় বহু গণমাধ্যম কর্মীরা সরাসরি ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন। এসময়ে নারী পুরুষ সহ সকলেই নিন্দা জ্ঞাপন করেন। এদিকে সাগরকান্দা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আনিসুর রহমান সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বিগত সময়ে কালা চাষের জন্য জমি তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে কলা চাষ শুরু হয় বৈধ অধিকার নিয়ে। কিন্তু গত শুক্রবার কোনকিছু আচ করার আগেভাগেই সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে ঠান্ডা মাথায় শাহরিয়ার কালাক্ষেতে গিয়ে একের পর এক কলাগাছ কর্তন করতে থাকে। এসময়ে দুই লক্ষ টাকার কলার ক্ষতি সাধন করার দুঃসাহস দেখায় বেআইনী ভাবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীরা সরাসরি কথা বলার চেষ্টা করেন শাহরিয়ার তালুকদারের সাথে। তিনি বাসায় গিয়ে জানা যায় শাহরিয়ার বাসায় নেই। অবশ্য ক্ষতির স্বীকার হওয়া আনিসুর রহমান মল্লিক গনমাধ্যমে কর্মীদের বলেন আমার বাবার বৈধ সম্পত্তির উপর কলার বাগান করি। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে কলা চাষ সহ বনজ গাছের বাগান করি। কিন্তু সন্ত্রাসী কায়দায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাগানের প্রতিটি কলাগাছ কর্তন করে। একটা গাছও নেই আমার বাগানে। তচনচ করে টুকরো টুকরো করে কর্তন করে বলে জানান। তিনি আরও বলেন আমি সাবেক জনপ্রতিনিধি সহ বর্তমান জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করি। স্থানীয় চেয়ারম্যানওকেও সমগ্র বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।এদিকে সমগ্র বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হয় মোঃ আনিসুর রহমান মল্লিক। প্রাথমিক ভাবে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। স্থানীয় প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমগ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন অফিসার সরাসরি স্পটে যান আসল ঘটনা উদঘাটন করার নিমিত্তে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের মামলা হয়নি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার সকলেই সমগ্র বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করেন। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এজাতীয় জগন্য কাজ করা ঠিক হয়নি। আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভুল ভোজাবুঝি কিংবা শত্রুতা হতে পারে। কিন্তু তাই বলে ফজল বনজ সম্পদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করার মধ্যে কোন ধরনের বাহাদুরি নেই। কঠিন শাস্তি চায় সুশীল সমাজের বেশির লোকজন সহ ভুক্তভোগী পরিবারের সকল সদস্যরা।