বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের দেশের আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের সাথে বৈঠক করেছি। চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক বেশি ছিলো। সেই শুল্ক আমরা যাতে যোক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি, সে বিষয়ে এনবিআরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটা ঘোষণা আসবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের জন্য বড় একটা সুসংবাদ আছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। বাংলাদেশে ভারত পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানি বন্ধ করেছিলো-সেই বিষয়ে আমি কথা বলেছি। ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। এছাড়াও ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ থেকে তেল চিনি আসছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানিকারক, লোকাল উৎপাদক, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগসহ সবার সাথে আমরা আলোচনা করেছি। তারা বলেছেন, রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ আমাদের মজুত আছে। এছাড়াও আগামী তিন মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কেউ মজুত করে কৃত্রিমভাবে যাতে দাম বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার নজরদারি শুরু হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। উদ্যোক্তা থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া এক কোটি মানুষকে টিসিবির কার্ড দিয়ে রমজানে ৫টি পণ্য দেওয়া হবে। আমাদের তালিকা নতুন করে সমন্বয় করা হবে। টিসিবির ডিলাররা যাতে সেবা দিতে পারে সে লক্ষে স্থায়ী দোকান করা হবে। এ সময় দেলুদয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।