নেপালের বিপক্ষে জয় প্রত্যাশিতই ছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল, জয়টা কতো বড় হয় তা জানার। কেননা এই জয়ের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। ২৪.৪ ওভার আর ৫ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে সেই স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগলো বেশ জোরেশোরেই।
ব্লুমফন্টেইনে নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। ফলে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ। টসে জিতে আগে ব্যাট করে ১ বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে অলআউট হয় নেপাল। জবাবে ২৫.২ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় নেপাল। পাওয়ার প্লের মাঝে মাত্র ২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দেব কানাল ও বিশাল বিক্রম মিলে ১২১ বলে যোগ করেন ৬২ রান। ৬০ বলে ৩৫ রানে খানাল আউট হলে ভাঙে জুটি। তবে এরপর ফের নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। বিশাল বিক্রম আউট হন ১০০ বলে ৪৮ রানে৷ ১৮ রান করেন সুভাস ভা-ারী। আর কেউ পারেননি দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে। বল হাতে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেম বর্ষণ। ৩ উইকেট যায় জীবনের ঝুলিতে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভারে আসে ৬৭ রান। ৩৪ বলে ১৬ রানে আউট হন আশিকুর রহমান শিবলি। তবে আরেক ওপেনার জিশান আলম অপরপ্রান্ত থেকে ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে তুলে নেম ফিফটি। যদিও এরপর ইনিংস আর বড় হয়নি, ৪৩ বলে ৫৫ রানে ফেরেন জিশান। রিজওয়ান ১৫ ও আহরার ১২ রানে আউট হলেও আরিফুল ইসলামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের মাঝপথেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আরিফুল ৩৮ বলে খেলেন ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে এমন দাপুটে জয়েও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচটাও জিততে হবে দাপটের সাথেই। তবে রানরেট এখন অনেকটাই মানানসই জুনিয়র টাইগারদের। ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৪, নেট রানরেট ০.৩৪৮। শীর্ষে থাকা ভারতের ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট, রানরেট ৩.৩২৭। দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের ৪ পয়েন্ট, রানরেট ১.০৬৪।