মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার ‘গণমাধ্যম যোগাযোগে ইসলামী মডেল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সবপক্ষের সাথে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা নাহিদ আবরার ফাহাদ হত্যা : বুয়েটে কী ঘটেছিল ৫ বছর আগে স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে দেশে মানুষ বাস করতে পারবে না : রিজভী হাজী সেলিম, সৈকত ও মানিককে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বন্যায় ফসল হারিয়ে মাথায় হাত তিস্তা পাড়ের কৃষকদের চীন-ভারত নয়, জাপানের অর্থায়ন হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪২৬ প্রাণ, ৪২ শতাংশই মোটরসাইকেলে যারা কাজে যোগ দেননি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু: আইজিপি

তাড়াশে পুকুর পাড়ে বড়ই চাষ লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা গোলাম মোস্তফা বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুর পাড়ে উন্নত জাতের বড়ই চাষ বেড়েছে। বিশেষ করে বড়ই চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এ কাজে নারীরা সহযোগীতা করছেন। পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের আবু ছাইম নামে এক কৃষক বলেন, পুকুরের এক পাড়ে ৩৫ শতক জায়গাতে বড়ই চাষ করে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। গাছে আরো ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বড়ই রয়েছে। এছাড়াও পুকুর পাড়ে লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজির আবাদ করা হয়েছে। এসব তরিতরকারি বিক্রি করে সংসারের ব্যয়ভার অনেকটা মিটে যায়। বড়ই গাছ ও শাক সবজি পরিচর্যার কাজ অধিকাংশ সময় আমার স্ত্রী করে থাকেন। আবু ছাইমের স্ত্রী রাশিদা খাতুন বলেন, আমার স্বামী বোরো আবাদ করা নিয়ে সারাদিন মাঠে থাকেন। গাছের পরিচর্যা ও গাছ থেকে বড়ই পেরে নিজেই বিক্রি করি। প্রতিকেজি বড়ইয়ের পাইকারি দাম ৮০ টাকা। এ গ্রামের আরেক কৃষক আবু জাফর ওরফে টিক্কা বলেন, আমি ৫৮ শতক জায়গাতে বরই গাছ লাগিয়েছি। এরই মধ্যে ২৫ হাজার টাকার বড়ই বিক্রি করেছি। ব্যাপারীরা ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন। জানা গেছে, কৃষকরা আপেল কুল, বাউকুল, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাস্মীরি কুল জাতের বরই চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, পুকুর পাড়ে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় মাটি ভরাট করে বড়ই চাষ করা যায়। বড়ই চাষ বেশ লাভ জনক। আগামী বছর গাছ লাগাতে হবেনা। এবছর বরই শেষ হয়ে গেলে বড়ই গাছের মাত্র এক ফুট রেখে সব অঙ্গ ছাঁটাই করে দেওয়া হবে। এরপর নতুন শাখা-প্রশাখা বেড়িয়ে গাছগুলো অধিক ঝাপড়া হয়ে বেড়ে উঠবে। তখন ফলনও বেশি পাওয়া যাবে এ বছরের তুলনায়। আগামী বছর খরচ কমে যাবে। কিন্তু লাভ আরো বেশি হবে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আরঙ্গাইল গ্রামের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, আমি পরিত্যক্ত জায়গাতে মাটি ভরাট করে বরই গাছ লাগিয়েছি। অন্যান্য ফসলের আবাদের চেয়ে বরই চাষে তিনগুণ লাভ। এদিকে পৌর এলাকার কহিত গ্রামের যুবক মিলন, তাড়াশ গ্রামের যুবক জাহিদ হোসেন ও খুঁটিগাছা গ্রামের যুবক রবিউল ইসলাম বলেন, পুকুড় পাড়ে বিভিন্ন জাতের বরই গাছ লাগিয়েছি। বাড়তি আয় হচ্ছে বরই চাষ করে। (০৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, আসানবাড়ী গ্রামের খেলার মাঠের পাশের একটি পুকুর পাড়ে বড়ই গাছের পরিচর্যা করছেন এক নারী। এ বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাস্মীরি কুল জাতের বরই গাছ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাড়াশে বড়ই চাষ ছিলোনা। কিন্তু প্রতি বছরই বড়ই চাষ বাড়ছে। বিশেষ করে পুকুর পাড়ে। এবছর ২০ হেক্টর জায়গাতে বড়ইয়ের চাষ করা হয়েছে।

ওগোলাম মোস্তফা বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুর পাড়ে উন্নত জাতের বড়ই চাষ বেড়েছে। বিশেষ করে বড়ই চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এ কাজে নারীরা সহযোগীতা করছেন। পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের আবু ছাইম নামে এক কৃষক বলেন, পুকুরের এক পাড়ে ৩৫ শতক জায়গাতে বড়ই চাষ করে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। গাছে আরো ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বড়ই রয়েছে। এছাড়াও পুকুর পাড়ে লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজির আবাদ করা হয়েছে। এসব তরিতরকারি বিক্রি করে সংসারের ব্যয়ভার অনেকটা মিটে যায়। বড়ই গাছ ও শাক সবজি পরিচর্যার কাজ অধিকাংশ সময় আমার স্ত্রী করে থাকেন। আবু ছাইমের স্ত্রী রাশিদা খাতুন বলেন, আমার স্বামী বোরো আবাদ করা নিয়ে সারাদিন মাঠে থাকেন। গাছের পরিচর্যা ও গাছ থেকে বড়ই পেরে নিজেই বিক্রি করি। প্রতিকেজি বড়ইয়ের পাইকারি দাম ৮০ টাকা। এ গ্রামের আরেক কৃষক আবু জাফর ওরফে টিক্কা বলেন, আমি ৫৮ শতক জায়গাতে বরই গাছ লাগিয়েছি। এরই মধ্যে ২৫ হাজার টাকার বড়ই বিক্রি করেছি। ব্যাপারীরা ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন। জানা গেছে, কৃষকরা আপেল কুল, বাউকুল, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাস্মীরি কুল জাতের বরই চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, পুকুর পাড়ে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় মাটি ভরাট করে বড়ই চাষ করা যায়। বড়ই চাষ বেশ লাভ জনক। আগামী বছর গাছ লাগাতে হবেনা। এবছর বরই শেষ হয়ে গেলে বড়ই গাছের মাত্র এক ফুট রেখে সব অঙ্গ ছাঁটাই করে দেওয়া হবে। এরপর নতুন শাখা-প্রশাখা বেড়িয়ে গাছগুলো অধিক ঝাপড়া হয়ে বেড়ে উঠবে। তখন ফলনও বেশি পাওয়া যাবে এ বছরের তুলনায়। আগামী বছর খরচ কমে যাবে। কিন্তু লাভ আরো বেশি হবে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আরঙ্গাইল গ্রামের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, আমি পরিত্যক্ত জায়গাতে মাটি ভরাট করে বরই গাছ লাগিয়েছি। অন্যান্য ফসলের আবাদের চেয়ে বরই চাষে তিনগুণ লাভ। এদিকে পৌর এলাকার কহিত গ্রামের যুবক মিলন, তাড়াশ গ্রামের যুবক জাহিদ হোসেন ও খুঁটিগাছা গ্রামের যুবক রবিউল ইসলাম বলেন, পুকুড় পাড়ে বিভিন্ন জাতের বরই গাছ লাগিয়েছি। বাড়তি আয় হচ্ছে বরই চাষ করে। (০৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, আসানবাড়ী গ্রামের খেলার মাঠের পাশের একটি পুকুর পাড়ে বড়ই গাছের পরিচর্যা করছেন এক নারী। এ বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাস্মীরি কুল জাতের বরই গাছ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাড়াশে বড়ই চাষ ছিলোনা। কিন্তু প্রতি বছরই বড়ই চাষ বাড়ছে। বিশেষ করে পুকুর পাড়ে। এবছর ২০ হেক্টর জায়গাতে বড়ইয়ের চাষ করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com