কালীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া গ্রামের নদীপাড়ায় ২০১৯ সালে স্থাপিত হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। শহরের প্রাণকেন্দ্রে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মিনি এই স্টেডিয়ামটি তৈরী করা হয়েছিল তার প্রকৃত সুফল এখনো দৃশ্যমান নয়। নানা অব্যবস্থাপনা,স্টেডিয়ামের জায়গা দখল,মাঠে বিষাক্ত বর্জ্য ও প্লাস্টিক কাটিং বিছিয়ে শুকানো ,অযতœ-অবহেলা আর রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এর অস্তিত্ব। মাঠটির আশে পাশে ময়লার স্তুপ দেখে মনে হয় যেন এটি একটি ময়লার ভাগাড়। আবার কখনো কখনো উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ব্যবহারের জন্য নির্মান সামগ্রী রাখাসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে খেলাধুলার জন্য তৈরি মিনি এ স্টেডিয়ামটি। ফলে নষ্ট হচ্ছে খেলাধূলার পরিবেশ। সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে কাচারি ভূমি অফিস সড়কের পাশে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি ময়লা আবর্জনা আর আগাছায় ছেয়ে আছে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাঠের ভিতর দিয়ে যত্র-তত্র ছোট যানবাহন চলাচল করছে । স্থানীয়া আবার গরু ছাগল এনে মাঠের অভ্যান্তরে বেধে রাখছে।আবার ভাই ভাই আয়রন স্টোর নামের একটি প্লাস্টিক কারখানার ময়লা আবর্জনা মাঠের জমিতে রাখা হচ্ছে স্তুপ আকারে। যা খেলোয়ারদের ঝুকির মধ্যে ফেলছে।এই স্টেডিয়মের নিয়মিত ফুটবল খেলোয়াড় আবির আহম্মেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এই মাঠে আগে নিয়মিত খেলাধুলা হতো। আন্তস্কুল ফুটবল,ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলা হতো, ভলিবল খেলা হতো, ক্রিড়া ফেডারেশনের আয়োজনেও খেলা হতো। কিন্তু এখন মাঠের পরিবেশ এমন হয়েছে যে এখানে খেলার পরিবেশই নেই। ময়লা আবর্জনার মধ্যে বল চলে গেলে খুজে পাওয়া যায় না। আবার দূর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে। তাই আমি মনে করি দ্রুত স্টেডিয়ামটিতে খেলা ধূলার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিৎ।এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এর পার্শ্ববর্তী অবৈধ দখলদারকে ইতিপূর্বেও সতর্ক করা হয়েছে। যাদের কারণে মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর স্টেডিয়ামের জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে বলবো।