শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানকে গ্রেফতার:বিএফইউজে ও ডিইউজে’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আহতরা যেই দলেরই হোক চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী ঢালাওভাবে মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সুজনের নিরীহ মানুষ হত্যাকারী রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা  দিতে ব্যর্থ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন  অধিকার নেই: মির্জা ফখরুল ছাত্র-জনতার খুনের দায়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জনরোষ থেকে বাঁচাতে সরকার জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে: মাওলানা এটিএম মা’ছুম কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র নিন্দা:ম্যাথিউ মিলার পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবান ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল মেহেরপুরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম উৎস দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে সাপ নিয়ে গবেষণায় সফল শিক্ষার্থী কামরুন নাহার কনা

সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান ১২ দলীয় জোটের

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পলওয়েল মার্কেট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
লিফলেটে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে। তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে ‘না’ বলুন। একইসাথে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, গুম, খুন ও ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখলকারী আওয়ামী লীগ সরকার আরো বেশি মাত্রায় দুর্নীতি করার লক্ষ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সরকারি দলের লোকজন বিত্ত বৈভবের মালিক হচ্ছেন। তাদের লুটেরা সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বাড়ছে। আর সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। একইসাথে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সহ নিত্যপণ্যের বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান ১২ দলের শীর্ষ নেতারা।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু , জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জামিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলামসহ জোট নেতৃবৃন্দ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে এক অদ্ভুত নাটক ম ায়িত হয়েছে। ভারতের মতো একটি আগ্রাসনবাদী শক্তি এই সরকারের মদদ যোগাচ্ছে। এ কারণে আমাদের সামনের দিনের আন্দোলন আরো সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে বিবেচনায় নিতে হবে। বস্তুতপক্ষে আওয়ামী লীগ সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ন্ত্রিত। তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক টানাপোড়নের মধ্যে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় যে খেলা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে এত সহজে এই খেলায় কারো ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে, তা আমি বিশ্বাস করি না। এ কারণে আমাদের একটা দীর্ঘ সময়ের আন্দোলন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসনে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প, চিনি শিল্প, চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের উপক্রম। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, তাদের পণ্য বর্জনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গণজাগরণ সৃষ্টি করুন। শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতিবেশী দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিহীন সরকার ব্যবস্থা কায়েম করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা কারো হাতে তুলে দিতে পারি না। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমরা সবাই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। তাদের পণ্য কিনব না। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব, ইনশা আল্লাহ।
জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। সিকিম বানানোর চক্রান্ত চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দিয়েছে। তারা কখনো বাংলাদেশকে সিকিম হতে দিবে না। তিনি বলেন, ইনশা আল্লাহ আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে ভারতের এই পুতুল সরকারের পতন ত্বরান্বিত করব এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ করব। আমাদের আন্দোলন চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com