মোংলার বহুরূপী হালিমা আক্তার হিমার ষড়যন্ত্র ও হয়রানীর হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবসায়ী মোঃ আবুল হোসেনের অসহায় স্ত্রী লাভলি। লাভলি বেগম বলেন, আমার স্বামী মোঃ আবুল হোসেন পেশায় একজন ছোট ব্যবসায়ী। সেই সুবাদে মোংলায় তার যাতায়ত ছিলো। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে মোংলার ময়লাপোতা এলাকার সেকেন্দার আলীর মেয়ে হালিমা আক্তার হিমার সাথে পরিচয় হয় আমার স্বামীর। এক পর্যায়ে হালিমা আক্তার হিমা আমার স্বামীকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে হালিমা তার গ্রামের বাড়ী রামপাল এলাকাতে নিয়ে যায় এবং খাবারের সাথে অচেতন করা ঔষধ মিলিয়ে আমার স্বামীকে খাওয়াইলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান আসার পর হালিমা আমার স্বামীকে বলে তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এবং কাবিন নামায় ১০ লক্ষ টাকা দেনমহর ধার্য করা হয়েছে। এই কথা শোনার পর আমার স্বামী শারীরিক ও মানষিক ভাবে আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে পুজি করে হালিমা আক্তার হিমা বিভিন্ন সময় মেসেঞ্জারে ও মোবাইল ফোনে আমার স্বামীকে নানাবিধ ভয়ভীতি এবং হয়রানী করবে বলেও হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এভাবে সাংবাদিকদের স্বামীর কথা বলতে বলতে আকুতি করে কান্না করে ফেলেন লাভলি বেগম। এই দুশ্চরিত্রা ও প্রতারক হালিমা আক্তার হিমা’র হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগীতা কমনা করেন অসহায় স্ত্রী লাভলি বেগম। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হালিমা আক্তার হিমা বলেন আমার গ্রামের বাড়িতে বসে আবুল হোসেন আমাকে সসম্মানে সজ্ঞানে শরীয়ত মোতাবেক ১০ লক্ষ ১ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করেন। বর্তমানে বেশ কিছুদিন যাবত তার বড় স্ত্রী লাভলি বিষয়টি জানতে পেরে আবুলকে গৃহবন্দী করে মারধোর সহ নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি আমার স্বামী আবুলকে নির্যাতনের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই।