ইফতারে জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। রমজানের প্রথম দিন থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগের সুযোগ লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ইফতারের সময় যত এগিয়ে আসে তরমুজের দাম তত বাড়তে থাকে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রোজার কারণে তরমুজের দাম বাড়িয়ে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা অস্বাভাবিক। তাই নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তের অনেকেই তরমুজ কিনছেন না। অকারণে দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট বাজার এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তারা। স্থানীয়রা জানান, এক কেজি তরমুজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এতে পাঁচ কেজির একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। অথচ এই তরমুজ ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পিসের পরিবর্তে কেজির দরে বিক্রি করছেন তরমুজ। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। রাজিব বেপারী নামের একজন ক্রেতা খবরপত্রকে বলেন, ৮০ টাকা কেজি দরে ৩৪০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনেছিলাম। বাসায় এনে ইফতারের আগে কেটে দেখি অপরিপক্ক। তরমুজের ভিতরে সাদা। স্বাদও ভালো না। বাজারে অপরিপক্ক তরমুজ বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমার মতো অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। বাজার মনিটরিং কর্মকর্তারা আমাদের কষ্ট বুঝে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ভ্যান চালক আলমাস জানান, তরমুজ ওজনে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাগছে। তাই এ বছর এখনো তরমুজ কেনা হয়নি। ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় আমাদের মত ভ্যান চালকরা তরমুজ কিনতে পারছেনা বলে তিনি জানান। আরেক ক্রেতা রমিজ উদ্দিন বলেন, এভাবে চলে কিভাবে। সরকার বলছে বিদেশি ফলের পরিবর্তে দেশি ফল খেতে। আর দেখেন তরমুজের এ মৌসুমে একটা তরমুজ ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। এভাবে চললে আমরা কী খেয়ে ইফতার করব? ক্রেতা হাবীব শেখ জানান, কয়েক বছর আগেও পিচ হিসাবে তরমুজ ক্রয় করছি। এখন ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ৪৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। যা পিচ হিসাবে ১৫০/১৮০ টাকায় ক্রয় করা যেত। ওজনে বিক্রি করায় তিনিসহ সকল ক্রেতা ঠকছেন বলে দাবী করেছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী খবরপত্রকে বলেন, বাজারে মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ এসেছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে আমি জেনেছি। তবে কেজি দরে বিক্রি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।