বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন করায় ১০ জন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিককে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্তকে হটকারি উল্লেখ করে ১০সাংবাদিককে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা যাতে নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানানো হয়।সভায় সাংবাদিক নেতারা বলে, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্ত বুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু লেখাপড়ার জন্য নয়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা পড়া ও গবেষণা করে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেখানে ক্যাম্পাসে সাংবাদিক সমিতি গঠনে উৎসাহ দিয়ে আসছে সেখানে ডিআইইউ কর্তৃপক্ষের এমন হটকারি সিদ্ধান্ত আমাদের বিস্মিত করেছে।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি এ কে এম মহসিন ও মুহাম্মদ খায়রুল বাশার; সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম; সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ; দপ্তর সম্পাদক আবু বকর এবং প্রচার সম্পাদক হয়েছেন শাহজাহান সাজু,নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, মোদাব্বের হোসেন, অর্পণা রায়, মুহাম্মদ আবু হানিফ, ম হামিদুল হক মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
সভায় বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রমসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে বলে সভা মনে করছে।সভায় সাংবাদিক সমিতির কাউকে কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধ এবং ১০ সাংবাদিককে বহিস্কারের সিদ্ধান্তকে ‘নোংরামি’ উল্লেখ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজ এসিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম ও কণ্ঠরোধ করার উদ্দেশ্যেই ডিআইইউর এমন বহিষ্কারাদেশ বলে সভায় সাংবাদিক নেতারা মতপ্রকাশ করেন।
সভায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, আমার দেশ, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশনসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, ঈদের আগে সাংবাদিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবি জানানো হয়।