স্বাধীনতার ৫২ বছর পর ও যাদের জীবন যাত্রায় লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোয়া। এখনো প্রায় আদিম যুগের মানুষের মত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। আমি বলছি কলাপাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী ১নং চাকামইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ অঞ্চলের কথা। আন্দারমানিক ও আরপাঙগাশিয়া নদীর কোল ঘেষেই অবস্থিত প্রচীন কালের স্বাক্ষ বহন কারী ৫টি গ্রাম। নিষানবাড়িয়া নেয়াপাড়া আনিপাড়া কাছিমখালি ও কাঁঠাল পাড়া। এই পাঁচ টি গ্রামে রয়েছে। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি দাখিল মাদ্রাসা ও ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবং অত্র এলাকায় তৈরি হয়েছে বহু শিক্ষিত তরুন উদ্যক্তা। কেহ গরেছেন দুগ্ধ খামার, আবার কেহ মৎস্য খামার, কেহ কেহ আবার বেছে নিয়েছের পল্টি খামার। কিন্তু এই শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী এবং উদ্যক্তা ও গ্রামের সাধারন জনগনের যাতায়াত ব্যাবস্থার ভোগান্তির নেই কোন শেষ। এমন কি হঠাৎ কেহ অসুস্থ হলেও মিলছেনা জরুরী চিকিৎসা, চাইলেই নেওয়া যাচ্ছে না অল্প সময় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ। বছর খানেক আগে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেও মিলছেনা কাঙ্খিত গ্রাহক সেবা। বিদ্যুৎ সংযোগ এর যতটুকুর সুফল পাওয়ার কথাছিলো। তাও আবার মিলচেনা যাতায়াত ব্যাবস্থার চরম অবনতির কারনে। কলাপাড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বাধিক অবহেলইত চাকামইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ অঞ্চল। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ করে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার সম্ভাব্য সম্ভাবনাকে ও দুমরে মুচরে দিচ্ছে এই যাতায়াত ব্যাবস্থা। নিশানবাড়িয়া থেকে কাঠালপাড়া স্লুইজ গেট পযন্ত প্রায় ৯ কিঃ মিঃ এব্রথেব্র কাচা রাস্তা। বর্ষাকাল আসলেই রাস্তার কিছু কিছু অংশ হালচাষ এবং মৎস চাষের উপযোগী হয়ে উঠে। অন্য মৌসুমে একমাত্র যোগাযোগ এর ব্যাবস্থা মটর সাইকেল যেটা অনিরাপদ। সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন মূলক কাজে ও বড় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে যাতায়াত ব্যাবস্থা ফলে থমকে যাচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সব মিলেয়ে চাকামইয়া ইউনিয়ন এর দক্ষিণ অঞ্চল যেন দিন দিন কলাপাড়া উপজেলার মধ্যে আরো বেশি মলিন হয়ো পরছে। যা সমৃদ্ধ কলাপাড়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন হিসেবে বড়ই বেমানান। একই উপজেলার অংশ হয়েও বর্ষার দিনে চাকামইয়া ইউনিয়ন এর মানুষের পথচলার যে দূভোগ সেটা যেন কলাপাড়া উপজেলার লজ্জার কারন। এমতাবস্থায় এখানে রাস্তাঘাট হওয়া সহ কলকারখানা হওয়াই হতেপারে এই জনপদের প্রতিটি পরিবারের বেকার তরুণ তরুণী ও নতুন উদ্যোক্তাদের সফলতা ও উন্নত জীবনের সন্ধান। এলাকাবাসীর দাবী সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সূ দৃষ্টিই হতে পারে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।