কিশোরগঞ্জে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত ও ভাঙচুরের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ দুপুরে জেলার কটিয়াদি উপজেলার পেয়ারাকান্দি গ্রামে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় যে, একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আয়েত আলী ও সুজন গং দলবদ্ধভাবে চলতি বছরের ২০ মার্চ দুপুরে পেয়ারাকান্দি গ্রামের শামসুদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় বৃদ্ধ শামসুদ্দিন ও তাঁর পুত্র বাচ্চু মিয়া ও বিল্লাল মিয়া, দুই পুত্রবধু বকুলা ও লিমাসহ পাঁচজনকে আহত করে। এ সময় মহিলাদের শ্লীলতাহনি করা হয়। এ ছাড়া বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল মিয়া জানান, হামলা, ভাঙচুর ও আহত করার ঘটনায় বাদল মিয়া বাদী হয়ে ২১ মার্চ কটিয়াদি থানায় আয়েত আলীকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত আসামীরা ২১ মার্চ রাতেই পুণরায় হামলা চালায় এবং শামসুদ্দিনের পুত্র হাবিবুল্লাহ’র উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত হাবিবুল্লাহ বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এ অবস্থায় হামলা, ভাঙচুর ও আহত করার ঘটনায় জড়িত আসামীরা বিভিন্নভাবে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে দায়ী আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারসহ আইনি সুরক্ষা দাবী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসুদ্দিন ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন, পুত্র বাচ্চু মিয়া ও পুত্রবধু বকুলা খাতুন।