রমজান মাসে ডায়াবেটিস বেশি কমে বা বেড়ে যেতে পারে। মূলত এ সময় খাবারের সময়সূচী বদল হওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে সুগারের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে সহজে। বিশেষ করে সেহরি ও ইফতার দুই সময়ের খাবারে গুরত্ব দিতে হবে। এমন খাবার পাতে রাখতে হবে যা শরীরকে সবল রাখে। একই সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে না দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রমজানে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন-
খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিন: সারা দিন না খেয়ে থাকার পর এ সময় কোনো খাবার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বেই। তাই আগেই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খেয়ে জোর দিতে হবে ফাইবারজাতীয় খাবারে।
এ ধরনের খাবার রক্তের সুগারের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফাইবারজাতীয় খাবার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ফল। আসলে ফলের ফাইবার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে তরমুজ, আপেল, পেয়ারা ইত্যাদি ফল পাতে রাখতে পারেন ইফতারে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার: এছাড়া খাবার হিসেবে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- মাংস, সয়াবিন, ডালে বেশি জোর দিন। এসব খাবার আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে ও শরীরের পেশিশক্তি বাড়াবে।
ডায়েট পরিকল্পনা: রমজান মাসে বিশেষভাবে ডায়েট পরিকল্পনা করা জরুরি। ডায়েট ঠিক থাকলে সুগারের সমস্যা আর ভোগাবে না। এর জন্য সারাদিনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফাইবারের ভারসাম্য় ঠিক রাখা জরুরি। তা হলেই সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমবে।
সুগার পরিমাপ:সুগার নিয়মিত পরিমাপ করার জন্য বিশেষ যন্ত্র পাওয়া যায়। এই যন্ত্রটি রমজানে কিনে রাখতে পারেন। রোজা রাখার সময় নিয়মিত সুগার পরিমাপ করা জরুরি। কারণ রক্তের সুগার অনেক বেশি ওঠানামা করে। তাই সুরক্ষিত থাকতে মাঝে মাঝে যন্ত্রটির সাহায্যে সুগার মেপে দেখুন। সূত্র: এবিপি লাইভ