১০ মে-র মধ্যে মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনাসদস্যদের সরিয়ে নিতে বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ মুইজ্জু। সেই মতো দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তিও। কয়েক দিন আগে দ্বিতীয় দফায় মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাসদস্যদের একটি দল ভারতে ফিরে গেছে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তার দৃষ্টান্ত দিয়ে মুইজ্জু জানালেন, তিনি যেমন কথা দিয়েছিলেন, তেমনই হচ্ছে। তিনি কথা রাখছেন। মে মাসের মধ্যেই ভারতের সব সেনাসদস্য মালদ্বীপ থেকে সরে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মালদ্বীপে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল গত ৯ এপ্রিল দেশে ভারতে ফিরে গেছে। মালদ্বীপে একটি বিশেষ হেলিকপ্টার পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তারা। এর পর আর একটি দলের ভারতে ফিরে যাওয়া বাকি। মুইজ্জুর দাবি, ১০ মে-র আগে তারাও মালদ্বীপ ছাড়বেন।
দেশের মানুষের কাছে মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনাসদস্যদের সরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুইজ্জু। সম্প্রতি একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় গিয়ে তাই তিনি বলেন, ‘৯ এপ্রিল ভারতীয় সেনাসদস্যদের আরো একটি দল চলে গেছে। এখন আর একটি প্লাটফর্ম থেকে ওদের সেনা সরানো বাকি। দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। ফলে ১০ মে-র মধ্যে তারাও ভারতে ফিরে যাবে। আমি আমার কথা রাখছি। ১০ মে-র মধ্যে মালদ্বীপ থেকে সমস্ত বিদেশী সেনা সরে যাবে। আমি যা কথা দিই, তা রাখতে কাজও করি।’ ভারতের সাথে মালদ্বীপের সেনাসদস্যদের সরিয়ে নেয়ার চুক্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সামরিক স্তর থেকে ভারতের সেনাসদস্যরা সরবে এবং সেই জায়গায় ভারতের প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদেরা যাবেন। তারা এখনো মালদ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছেন কি না, ভারতীয় সেনাসদস্যদের শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে মুইজ্জু কোনো কথা বলেননি।
গত ১১ মার্চ প্রথম দফায় মালদ্বীপ থেকে ভারতের ২৬ জন সেনাসদস্যের একটি দল ভারতে ফেরে। তাদের জায়গায় প্রশিক্ষিত অসামরিক নাগরিক ইতিমধ্যে মালদ্বীপে পৌঁছেও গেছে। নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। তিনি চীনপন্থী এবং ভারত-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যে চীনের সাথেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা