লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘মানুষের ভিটেমাটি রক্ষায় অসম্পন্ন নদী বাঁধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে কাজ করছি। দলীয় শৃঙ্খলা ও বিভাজন মুক্ত করে দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করা হবে। এর আগে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখানকার প্রধান সমস্যা নদী বাঁধ উন্নয়নে কাজ করেছি। এছাড়া গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, মসজিদ ,মন্দির, ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলাম। জনগণ এখন এর সুফল পাচ্ছে। যে কারণে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পরেও জনগন আমাকে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে। ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেহেত এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নেই সেক্ষেত্রে জনগন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার সুযোগ রয়েছে। ভোট হবে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু। তিনি আগামী ৮ই মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে জনগনকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আহবান জানান। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রার্থীদের মধ্যে একটি পক্ষ সাংসদ আবদুল্লাহ আল মামুন একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন এমন তকমা লাগিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করার বিষয়টি অপপ্রচার দাবি করেছেন তিনি। এবিষয়ে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে এলাকায় অবস্থান করেছিলাম। নেতাকর্মীদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে হয়েছে। এমপি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিষয় তুলে ধরে কথা বলেছি। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। যে বা যাহারা এ প্রচারণা করছে তারা অবশ্যই আমার বিপক্ষে কথা বলা কোনো না কোনো প্রার্থীর কর্মী বা সমর্থক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।