সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, সংসদ সদস্য আনারকে অপরাধীকে বানিয়েছে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গত শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাসাস’র উদ্যোগে ডিআরইউ’তে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
‘অপরাধ করলে কেউ পারবে না’ গত শুক্রবার ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সাবেক দুই প্রধান আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদ ও আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা নিয়ে আমরা মনে হয় অনেকে তুষ্টিতে আছি। এই যে বেনজীর আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর আজিজ আহমেদ সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে বলে শুনেছি এবং ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘ অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।’ এই অবস্থায় আমার প্রশ্ন তাদের অপরাধী বানাল কারা?
তিনি আরো বলেন, এই যে বিনা ভোটে নির্বাচন, ১৫৩ জন বিনাভোটে এমপি ও দিনের ভোট রাতে হলো এখন চোখ ওল্টাতে পারবেন? যদি পাল্টা চোখ ওল্টায় তাহলে তো ঝিনাইদহের এমপির মতো ঘটনা ঘটতেও তো পারে। আসলে আপনারা যা বলছেন, তা জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে নিতে বলেছেন। আসলে এরা সবাই খালাস পাবেন। পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদের সম্পদ জব্দ করলেও মামলার ট্রায়াল তো হয়নি উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেই মামলায় বেনজীর হাজিরাও দেননি; উচ্চাদলত থেকে জামিনও নেননি। সে তো কোনো কেয়ার করছেন না। সম্পদ জব্দ করলেও বেনজীরকে গ্রেফতারের কোনো আদেশ দিয়েছেন? দেননি।
ওয়ান ইলেভেনে তারেক রহমানকে গ্রেফতারের মূল কারণ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ব্লাকমেইল করতে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে সব মামলাই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা।
জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফউদ্দিন উজ্জল, সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইদ সোহরাব প্রমুখ।