গাজীপুরের কালীগঞ্জ এবং নরসিংদীর পলাশ এই দুই উপজেলার মধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর তৈরি হয় শহীদ মায়েজউদ্দিন সেতু। এই সেতু দিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার সাথে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য নির্মিত হয় কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল-নরসিংদী আঞ্চলিক সড়ক। সরকারের এই দৃশ্যমান দুই উন্নয়নের ফলে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। সহজ হয়েছে ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার মালামাল আমদানি-রপ্তানির ব্যবস্থাও। তবে সড়ক ও সেতু নির্মাণের পর থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে এ সড়কের বাইপাস মোড়ের ভাদার্ত্তী এলাকা এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এই মোড়ে একটি গোল চত্ত্বর তৈরি এবং মোড়ে থাকা পুলিশ চেক পোষ্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার। স্থানীয় প্রশাসন বলছে খুব শীঘ্রই হবে চত্বর, সরবে পুলিশ চেক পোষ্ট। জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০০৬ সালে কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল নরসিংদী আঞ্চলিক সড়কের উদ্বোধন করেন তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার। সেতু এবং সড়কটি নির্মাণের সাথে সাথে এই সড়কে যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনাও। সূত্র আরো জানায়, আঞ্চলিক সড়কটি নির্মাণের পর থেতে এই সড়ক দিয়ে নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, সিলেট এবং চট্টগ্রামগামী যাত্রী ও মালবাহী যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার ভাদার্ত্তী এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। অনেক সময় চেকপোষ্টের ভয়ে তাড়াাহুড়া করে তিন রাস্তার মোড় অতিক্রম করতে গিয়ে হরহামেশাই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। অনেকেই আবার বরণ করছেন পঙ্গত্ব। সম্প্রতি ওই বাইপাস সড়কের মোড় ভাদার্ত্তী এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা স্থানীয়দের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক ও সেতু, কিংবা পুলিশের চেকপোস্ট সবকিছুই স্থানীয় সাধারণের জন্য সরকারের উন্নয়ন। এই উন্নয়ন যেন মানুষ মরার ফাঁদে পরিণত না হয় এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। গাজীপুরের টি আই (এডমিন) মো. শাহাবউদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবো এবং যারা চেকপোষ্টে দায়িত্বে থাকবে তাদেরকে বলে দিব, যেন তারা এক স্থানে না বসে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসে। তবে যারা ক্রিমিনাল এবং গাড়ির বা চালকের কাগজপত্র সঠিক না থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত একটি গোল চত্বর তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তা।