সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় আটক মহম্মদ সিয়াম হোসেনকে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতের বাগজোলা খাল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করেছে সিআইডি।
গতকাল রোববার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় পৌঁছে বাগজোলা খালে নামেন সিআইডি কর্মকর্তারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় হাড়গোড়। তবে, ওই হাড় আনোয়ারুল আজীমেরই কি না তা স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক পরীক্ষায় তা জানা যাবে।
জানা গেছে, একটি ঝোপের পাশ থেকে হাড়গোড়গুলো উদ্ধার করা হয়। আরো জানা গেছে, রোববার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভারতের ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার থানা এলাকার কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে নামে সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। হাড়গুলো প্রাথমিকভাবে দেখে অনুমান, সেগুলো মানুষেরই। যদিও তা আনোয়ারুল আজীমেরই কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এজন্য করতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, ভারতের নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিলো পাঁচেক ছোট ছোট মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেই মাংস কি আনোয়ারুলেরই, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবার হাড়গুলোও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো বা হাড়ের ডিএনএ প্রোফাইল করতে আনোয়ারুলের মেয়েকে ভারতে নেয়া হয়েছে। তিনি নমুনা দেবেন বিশেষজ্ঞদের। এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শনিবার তাকে ভারতের বারাসত আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তার পর রোববার সকালেই সিয়ামকে নিয়ে কৃষ্ণমাটিতে পৌঁছে গেলেন সিআইডি কর্মকর্তারা। সিআইডি সূত্রে খবর, গত ১৩ মে আনোয়ারুলকে খুনের পরে নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন থেকে সংসদ সদস্যের দেহের অংশ ট্রলি সুটকেসে করে নিয়ে কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে ফেলে দিয়েছিলেন সিয়াম। সাথে ছিলেন খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। জিহাদকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। খালে দেহ ফেলে আবার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনেই সিয়াম ফিরে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গত ১৬ মে বিহার হয়ে নেপালে পালিয়ে যান সিয়াম। সূত্র : আনন্দবাজার