পাপ কাজ মানেই আল্লাহর অবাধ্যতাপূর্ণ কাজ। সবার জন্য পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা জরুরি। তার পরও শয়তানের প্ররোচনায় কোনো পাপ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে দ্রুত তাওবা করবে এবং তারপর নেকির কাজ করবে। যাতে নেকির কাজ পাপকে মিটিয়ে দেয়। আবদুল্লাহ বলেন, নবী করিম (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আমি মদিনার শেষ প্রান্তে এক নারীকে স্পর্শ করেছি এবং আমি তার সঙ্গে সহবাস ছাড়া সবই করেছি। আমি এখন আপনার কাছে এসেছি। আপনি যা ইচ্ছা আমার ব্যাপারে ফায়সালা করেন। ওমর (রা.) তাকে বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমার অপরাধ গোপন রেখেছেন। এখন তুমিও যদি তা গোপন রাখতে। রাসুল (সা.) কারো কথায় প্রতিউত্তর করলেন না। লোকটি উঠে চলে যাওয়ার পর রাসুল (সা.) এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনেন এবং এই আয়াত পাঠ করে শুনান : ‘আর তুমি সালাত কায়েম করো দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই সৎকর্ম মন্দ কর্মকে বিদূরিত করে…। ’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৪)
উপস্থিত লোকদের মধ্যে একজন বলল, এটা কি শুধু তার বেলায় প্রযোজ্য? রাসুল (সা.) বলেন, না, বরং সবার জন্য। (মুসলিম, হাদিস : ২৭৬৩) । অন্য হাদিসে এসেছে, আবু জার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাকো আল্লাহকে ভয় করো, মন্দ কাজের পরপর ভালো কাজ করো, তাতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে এবং মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৭)
সুতরাং পাপ করার পর বেশি বেশি তাওবা করে নেক কাজ করবে। পাশাপাশি পাপ কাজ প্রকাশ করবে না। কেননা আল্লাহ বান্দার পাপ গোপন রাখেন; কিন্তু বান্দা নিজে তা প্রকাশ করলে ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার সব উম্মতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ছাড়া। আর নিশ্চয়ই এ বড়ই অন্যায় যে কোনো লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন, কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার ওপর আল্লাহর দেওয়া আবরণ খুলে ফেলল।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৬৯)