আষাঢ়ের শেষের দিকে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার নদ-নদীতে জেলের জালে ধরা পরছে বড় সাইজের ইলিশ। মেঘনাসহ কীর্তনখোলা, কালাবদর ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে ধরা পড়া ইলিশে সরবরাহ বেড়েছে নগরীর পোর্টরোড মৎস্য আড়তে। তাই নদীতে ইলিশ ধরায় এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার ৭৫ হাজার জেলে। সোমবার সকালে পোর্ট রোডের লিয়া মৎস্য আড়তের আড়তদার রুবেল হোসেন বলেন, বর্তমানে বড় সাইজের ইলিশ বেশি ধরা পরছে। গত কয়েকদিন ধরে মোকামে গড়ে ৬০ মণ করে ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। এসব ইলিশের মধ্যে এলসি (৬০০-৯০০ গ্রাম) আকারের ইলিশ প্রতি কেজি ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ ১৭ থেকে ১৯শ’ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৪ থেকে ১৫’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদীর জেলে আব্দুর রহমান বলেন, বৃষ্টি শুরুর পর নদীতে বড় আকারের ইলিশ ধরা পরছে। তবে তা সংখ্যায় খুব বেশি না। বৃষ্টি থাকলে ইলিশ শিকার আরও বাড়তে পারে। প্রায় একই কথা জানিয়েছেন, আঁড়িয়াল খাঁ ও মেঘনা নদীর জেলেরা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বশির আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দিনের অধিকাংশ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জেলা মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ইলিশ শিকারের সু-সময়। তাই এ সময়ে মেঘনাসহ অন্য নদীতে বড় ইলিশ ধরা পরছে। যেকারণে নগরীর পোর্টরোড মৎস্য মোকামেও সরবরাহ বেড়েছে। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, কঠোর অবস্থানে গিয়ে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম সফল করা হয়েছে। পাশাপাশি আষাঢ়ে বৃষ্টি হওয়ায় বড় সাইজের ইলিশ ধরা পরছে। ইলিশ শিকারের হার আরও বাড়বে। তাই বিভাগের ছয় জেলার চার লক্ষাধিক জেলে ইলিশ শিকারে নদী চষে বেড়াচ্ছেন।