পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় শতবর্ষী পুরাতন বাড়ীতে নিজের রোপিত গাছ কেটে বন বিভাগের তোপের মুখে পড়েছেন বাড়ীর মালিক আজিজুল হক মোল্লা(৭৫)। জানা গেছে উপজেলার ০৩ নং দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে ২নং ওয়ার্ডে মৃত: ইউসুফ আলী মোল্লার ০২ পুত্র আজিজুল হক মোল্লা(৭৫) ও নূরুল হক মোল্লা(৬৫) তাদের ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যে দন্দকে কেন্দ্র করে এলাকার একটি কু-চক্রী মহল তাদের পৈত্রিক ভিটায় নিজস্ব রোপিত গাছ কাটার জেরে ঐ কু-চক্রী মহল সুযোগ কাজে লাগিয়ে বন বিভাগকে মিথ্যা সংবাদ দিয়া বিপাকে ফেলেছে ১০ সন্তানের জনক আজিজুল হক মোল্লাকে। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে আজিজুল হক মোল্লা পিতা মৃত: ইউসুফ আলী মোল্লা ঐ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বরতক উল্লাহর পিতা মৃত: মৌলভী আমীর হোসেন এর নিকট হইতে ২৮/০৬/১৯৭৮ সালে দলিল গ্রহন করেন। যার এস,এ খতিয়ান-১১৬/৪১, বর্তমান বি,এস ৫৬ নং খতিয়ানের ৩৩০৫/৩৩০৬/৩৩০৮ দাগের মধ্যে ৫১ শতক বাড়ী ও জমি রেকর্ড ভুক্ত রহিয়াছে। সংবাদ পেয়ে পিরোজপুর বন বিভাগের জেলা কর্মকর্তা শামীম রেজা মিঠু ও নাজিরপুর উজেলা বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা পান্না এবং ঐ ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রিপন হালদার সরেজমিন তদন্ত করেন। এ সময় স্থানীয় উপস্থিত লোকজন তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জানান, এই বাড়ী রেকর্ডীয় কিন্তু একটি মহলের কু-পরামর্শে সাবেক ঐ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ভুক্তভোগী আজিজুল হক ও তার ভাইকে সংবাদ দিয়ে নিয়ে জানান যে, আপনাদের বাড়ীর মধ্যে সরকারি জায়গা আছে, আমার সাথে দেখা না করে গাছ কাটবেন না। এদিকে আজিজুল হক মোল্লা সরকারি জায়গা সণাক্ত করনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র তদন্তকারী বন কর্মকর্তার নিকট জানান, ঐ ওয়ার্ডে সামাজিক বনায়ন এর কোন বাগান নেই, তার পরেও তার রোপিত গাছ জব্দ করে ঘর নির্মানের ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ৩নং দেউলবাড়ী দোবরা ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ঔ ওয়ার্ডে বন বিভাগের কোন গাছ বা প্রজেক্ট নেই।