শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

মুসলিম সম্প্রদায়ের উচিত গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া : প্রধানমন্ত্রী

বাসস:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা (গাজায় গণহত্যা) প্রত্যাশিত নয়। আমাদের সবাইকে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’ বাংলাদেশে মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমী গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মুন সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পূর্ণব্যক্ত করেছেন। তিনি যুদ্ধের জন্য অস্ত্র উৎপাদনের অর্থ মানবজাতির বিশেষকরে মহিলা ও শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ত্র উৎপাদন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যয় করা অর্থ মানবজাতির কল্যাণে স্থানান্তর হবে অধিকতর কার্যকর।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যেখানেই গেছেন সেখানেই গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রত্যাশা অনুযায়ী বিকশিত হয়নি।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (রপ্তানি ৩০.১ মিলিয়ন এবং আমদানি ১৫০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কৃষি, বস্ত্র, ওষুধ, পর্যটন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।
মিসরের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনার মতো নেতা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেও প্রয়োজন।’
ফাহমী উল্লেখ করেন, মিসরের গ্র্যান্ড ইমাম বাংলাদেশ সফর করতে চেয়েছেন। মিশরের সংবিধান অনুযায়ী তার পদমর্যাদা প্রধানমন্ত্রীর পদের সমান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ তাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে। মিসরের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও প্রশংসনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মিসরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার সাদাতের মধ্যকার বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com