সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তার বারিধারার বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। সোমবার দুপুরে একটি মামলার ওয়ারেন্টের কাগজ নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বারিধারার ২২ দূতাবাস রোডের বাসায় যান। এসময় বাসায় পরিবারের কোনো সদস্য ছিলেন না। পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে থাকা কর্মীদের কাছে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অবস্থান জানতে চান। তারা পুলিশ সদস্যদের জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। তখন পুলিশ সদস্যরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখতে চান। এটি দেখানোর পর তারা চলে যান।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ছেলে জাভেদ হোসেন এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, পরিবারসহ আমরা বিদেশে আছি। সোমবার বাবার বিরুদ্ধে জারি হওয়া একটি ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ বাসায় গিয়েছিল। বাসার কর্মীরা তাদের ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়েছে। পরে তারা চলে যায়।
কোন থানার পুলিশ সেখানে গিয়েছিল তা বাসার কর্মীরা জানাতে পারেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। বারিধারার দূতাবাস রোডে অবস্থিত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাড়িটি গুলশান থানা এলাকায় অবস্থিত। রাতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। গুলশান থানা থেকে কেউ উনার বাসায় গেলে আমি অবশ্যই জানতাম।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ই ডিসেম্বর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইন্তেকাল করেন।