করোনা ভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শরীয়তপুর জেলা সদরে মানুষ প্রকাশ্যে বাজারে সমাগম করছে। তারা কোন স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। এদের বেশীর ভাগ লোকজনের সামাজিক দুরত বজায় রাখাতো দুরের কথা অনেকের মাস্ক পরা নেই। প্রকাশ্যে বাজারে দাড়িয়ে খাচ্ছে। একজন অন্যজনের সাথে কাছাকাছি ঘেষে দাড়িয়ে রিলিফ অথবা ১০ টাকা কেজি চাল সংগ্রহ করছে। তবে পালং বাজারে বৃহস্পতিবারের তোলা ছবিতে নারীদের উপস্থিতিই বেশী। তারা স্বামীদের বাড়ি রেখে নিজেরাই বাজারে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে চাল সংগ্রহ করছে। এরা মনে করছে এ সব করোলা আমাদের বাড়িতেই আছে। তরকারী হিসেবে খেয়ে ফেলি। আসলে করোনা যে মরনব্যাধি জীবানু তারা পাত্তাই দিচ্ছেনা। তাদের কে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সচেতন করার পরে ও তারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাজারে ভিড় করছে। তাদের জন্য আলাদা নীতিমালা দরকার কিনা বুঝে উঠা কষ্ট । কারন এ সব লোকজনের মধ্যে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু নেই এটা বলা যাবেনা। আবার আছে তাও নয়। যদি জীবানু থাকে তবে নিজে মরবে পরিবারকে মারবে দেশের ক্ষতিকরবে।তাই পালং বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কড়া নজরদারিতে রাখা উচিৎ প্রশাসনের। তানাহলে করোনা ভাইরাস গ্রামগঞ্জের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের ধামসী গ্রামের মৃত সিকিম আলী মোড়লের বাড়ি ও তুলাসার ইউনিয়নের ২২রশি গ্রামের আজিজ ছৈয়ালের বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। গত তিনদিন পূর্বে আজিজ ছৈয়ালের ছেলে বাচ্চু ছৈয়াল নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসে। যেহেতু নারায়নগঞ্জ এলাকায় করোনা সংক্রমিত এলাকা। সেহেতু তার শরীরে করোনা ঝুকি থাকতে পারে। এছাড়া তিনদিন পূর্বে চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর ও টুমচর এলাকার তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাহবুব রহমান বলেন,বার বার মানুষদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। পুলিশ র্যাব ও সেনাবাহিনী তাদের ঘরে রাখতে দিনরাত কাজ করছে।তার পরেও তারা কথা মানছেনা। আমরা আপ্রান চেষ্টা করছি যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে। এ ছাড়া সদর উপজেলার ৫টি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
ই-খ/খবরপত্র