চাঁদপুর শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু দাম কমেনি। উপরন্তু পুরোনো আলুর দাম কেজি প্রতি ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে জেলা শহরের ব্যস্ততম বাজার বিপনীবাগের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খান, ইকবাল বেপারি, আবুল কালাম গাজী, টিটু মিয়ার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তবে তারা কেউই এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ সময় শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি। প্রতিটি ফুল কপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপিও ৬০ টাকা পিস। এছাড়া করলা ৮০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, গাজর ১৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি এবং ধনে পাতা ১২০ টাকা কেজি। কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি। পটল ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি, মূলা ৬০ টাকা কেজি, ছড়া কচু ৬০ টাকা কেজি, ধুন্দুল ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কুমড়া ৬০ টাকা এবং মাঝারি আকারের লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতিটির দাম। শহরের পাল বাজারের পাইকারি বাজারে দেখা গেছে, শাক-সবজির সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন সকালে-বিকেলে সদরের মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নৌকা বা ট্রলারে শহরের ১০ নম্বর ঘাটে প্রচুর শাক-সবজি আসে। এখান থেকে প্রায় ১০০টি ভ্যানে করে এসব শাক সবজি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে/পাড়া, মহল্লায় বিক্রি করা হয়। শহরের সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই শাক-সবজি কিনে।
এসব ভ্রাম্যমাণ খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘আড়তে দাম বেশি, তাই তাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি। গরু ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। খাসির গোশত ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া চিনা হাঁস ১০০০ টাকা (দেড় কেজি ওজনের), দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের চিনা হাঁস ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতিটি।
কৃষকেরা জানান, সদর ও মতলব দক্ষিণের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দেখা গেছে, খেতে এখন রকমারি সবজি চাষ সবে মাত্র শুরু হয়েছে। শাক-সবজি বাজারে আসতে আরো প্রায় মাস খানেক সময় লাগবে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিবিদ মোবারক হোসেন জানান, চাঁদপুর জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করা যায়, প্রায় এক লাখ ২১ হাজার টন শাক-সবজি উৎপাদন হবে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে চাঁদপুরের শাকসবজি এলাকার হাট বাজারে উঠলে, দাম কমবে। যেসব উঁচু এলাকায় শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। সেসব শাক-সবজি বাজারে দেখা যাচ্ছে। কুমিল্লার বুড়িচং, গৌরিপুর, লাকসাম থেকেও অনেক শাকসবজি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। তাই এদের দামও বেশি।