আশুলিয়ার তালপট্রি এলাকায় সরকারি আঞ্চলিক সড়ক আংশিক দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মিজানুর রহমান আতা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এরআগে তিনি ওই সড়কের কিছু অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে ওই এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশের উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমানের বাবা তালপট্রি এলাকায় এলজিইডির সড়কের আংশিক দখল নিয়ে প্রাচীর করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ভবন নির্মাণ অবকাঠামো আইন, নিয়মনীতি আর স্থানীয়দের সুবিধা-অসুবিধা তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অভিযোগ উঠেছে ওই বহুতল ভবনের প্লাণের অনুমোদন নেই। স্থানীয়রা জানান, সরকারি পিচ ঢালই করা রাস্তার পাশে তালপট্রি বাগানবাড়ি এলাকায় ক্রয়কৃত সাড়ে ৩শতাংশ জমির পাশের পাকা রাস্তা দখল করে প্রায় সাড়ে ৪শতাংশ জমির উপর ভবন নির্মাণ করেছেন আতা। ওই ভবন নির্মাণের শুরুতেই এলাকাবাসি কাজে বাঁধা প্রদান করেন এবং ভবনের কিছু অংশ ভেঙ্গে দেন। পরে ভবনের ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করেন। ওই ভবন ঘেষে রাস্তার ইউটার্ন মোড়ে ভবনের একটি আরসিসি পিলার এলজিইডির রাস্তার প্রায় ৫ ইঞ্চি সীমানা অতিক্রম করেছে। এরমধ্যে প্রায় ২ফুট রাস্তার জায়গা দখলে নিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। এতে ওই ভবনের আশপাশের প্রায় ২০/২৫টি বাড়ির জনগন ও ছোট বড় যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, মিজানুর রহমান আতার ছেলে একজন পুলিশের এসআই হওয়ার দাপটে তারা জোরপূর্বক রাস্তার জমি দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ফলে রাস্তাটি সরু হয়ে গেছে। এখন আবার রাস্তার পাশ দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল করছেন। যার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে এখন আর কোন ট্রাক বা অন্য কোন গাড়ি ঢুকতে পারবেনা। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ আবার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ বিষটি শংশ্লীষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এব্যাপারে জানতে বহুতল ভবনের নির্মাণ ঠিকাদার খলিলুর রহমান খলিল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মালিক পক্ষ আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলেন আমাকে সেই ভাবেই কাজ করতে হয়। তবে আমি ভবন মালিকের অঙ্কনকৃত ডিজাইনের প্ল্যাণ মোতাবেক কাজ করেছি। ওই প্ল্যান পরে অনুমোদন করবেন কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেছেন কি-না আমার জানা নেই। এব্যাপারে জানতে চাইলে ভবন মালিক মিজানুর রহমান আতা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক বহুতল ভবনের প্ল্যাণ অনুমোদন নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছি। এলজিইডির রাস্তা থেকে ৫/৬ ফুট দুরত্ব রেখেই ভবন নির্মাণ করেছি।