বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পৌরসভার অভিযান আশার আয়োজনে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি: আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রত্যাশা করছে চীন মস্কোতে বিস্ফোরণে রুশ পারমাণবিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিহত ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ারবাজার সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি.- এর চেয়ারম্যান জনাব এম.এ.কাশেম মহোদয়ের সঙ্গে মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত নির্বাহী কমিটির ৪র্থ সভা মাইলস্টোন কলেজে মহান বিজয় দিবসের আয়োজন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে: হাসিনা-রেহানার ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একক ক্ষমতাই দুর্নীতির অন্যতম কারণ’

খবরপত্র প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী-এই তিন পক্ষের যোগসাজশেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একক ক্ষমতার কারণেই এসব দুর্নীতির বিস্তার হয়েছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব।’
গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে বিগত সরকারের আমলে জ্বালানি ও বিদ্যুতখাতের দুর্নীতি নিয়ে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ছায়া সংসদটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিলো উল্লেখ করে ড. ম. তামিম বলেন, ‘এস আলম ও সামিট গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি অনুসন্ধানে ফরেনসিক স্ক্রুটিনি প্রয়োজন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এই অস্বচ্ছতার পেছনে বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিলো। লস দেখিয়ে দেখিয়ে উচ্চমূল্য নির্ধারণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বচ্ছ রাখা হতো। বর্তমান সরকার এসেও এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করতে পারেনি।’
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিন দিনের মধ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করা হয়। আদানির সঙ্গে চুক্তিটি অসম। এ ক্ষেত্রে শতভাগ ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্টের পরেও ৪০ ভাগ আরো অতিরিক্ত বিদ্যুতের মূল্য দিতে হয়। এই চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মাফিয়াদের আইনের আওতায় না আনলে মাফিয়াতন্ত্র দমন হবে না উল্লেখ করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম।
তিনি বলেন, ‘নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে কমিশনের লোভেই এলএনজির দিকে ঝুঁকে পড়া ছিলো ভুল উদ্যোগ। জবাবদিহিতাকে এড়ানোর জন্য বিগত সরকার গণশুনানির পরিবর্তে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করতো, যা ছিলো অস্বচ্ছ।’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী
কিরণ বলেন, ‘ডাকাতরা বাংলাদেশে আর্থিক খাতের মতো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। লুটেরাদের সুযোগ করে দিতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত ইনডেমনিটি আইন পাস করেছিল, যার মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়ে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ, সঞ্চালন ও মিটার কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। যাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে।’
শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে বলে বিগত সরকার মানুষকে মিথ্যা গল্প শুনিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফেরি করে বিদ্যুৎ দেয়ার কথা বলা হলেও বিদ্যুতের ফেরিওয়ালারা এখন জেলে অথবা পলাতক। বিদ্যুতের এমন মিটার বসিয়েছে যাতে বাতি না জ্বললেও মিটার ঘোরে। প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে এক চতুর্থাংশ টাকা মিটার খেয়ে ফেলে। শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাসের পাইপে গ্যাসের পরিবর্তে বাতাস দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি সম্পূর্ণ একপাক্ষিক ও দেশবিরোধী এবং এতে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির জন্য বিগত সরকারের রাজনীতিবিদ অপেক্ষা আমলারাই বেশি দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি—বাংলাদেশ এর বিতার্কিকদের পরাজিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রফিকুল বাসার ও সাংবাদিক রিশান নসরুল্লাহ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com