সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। প্রায় সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। এদিকে কর অব্যাহতির পরও প্রভাব পড়েনি চালের দামে, উল্টো বাড়ানো হয়েছে দাম। এখন বাড়তি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর-১১ কাঁচাবাজার, পল্লবীর মুসলিম বাজার, ৬ ও ১২ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম, অন্যান্য চালের দামও বাড়তি। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেটের পর সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে নাজিরশাইল চালের দাম। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ছিল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা, শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৬ টাকায়।
দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। ২ থেকে ৫ টাকা দর বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এ ছাড়া এ সময় মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। দুই সপ্তাহ আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মোটা চাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। এছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৪ থেকে ৯৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে তালুকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ বলেন, আমনের মৌসুম। ভারত থেকেও চাল আসছে। তবু বাজার চড়া। কোনো কারণ ছাড়াই মিলাররা দর বাড়াচ্ছেন। রমজান সামনে রেখে তারা চালের দাম বাড়াচ্ছেন। মিল পর্যায়ে কড়া তদারকি প্রয়োজন।
স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে
মিরপুর-৬ নম্বর বাজারে চাল ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া বলেন, কয়দিন আগে নতুন ক্ষেত থেকে ধান উঠানো হয়েছে। ধানের দাম বাড়ছে এমন অজুহাতে মিলাররা চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে চাল আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনবিআর। তবুও আমদানি করা চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি করা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে।
মুসলিম বাজারের চাল বিক্রেতা মাসুদ রহমান বলেন, কোথায় কী ভ্যাট-ট্যাক্স কমলো, সেটা তো আমরা জানি না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। বেশিতেই বিক্রি করতে হয়।
চালের বাড়তি দামে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। মুসলিম বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী এরফান হামিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে একটা জিনিসের দাম কমলে দুইটার দাম বাড়ে। শীতের এই সময়ে চালের দাম বাড়ার কথা না। কেননা নতুন চাল উঠছে বাজারে। তবুও কেন চড়া চালের দাম? এর কোনো উত্তর নাই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com