সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

আ.লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না: প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না। এই সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন ১০টি নৌযানের কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিরোধীদলে থেকেও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান শেখ হাসিনা। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি ক্ষমতাসীন সরকারের সংসদে বিরোধীদলে থেকেও আইন পাস করে কোস্টগার্ড গঠনের সূচনাতে দলটি ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে গেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।
নতুন এ ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে যুক্ত হওয়া ১০টি নৌযানের মধ্যে পাঁচটি দেশের নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড ও খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে।
কমিশন হওয়া নৌযানগুলো হলো, দু’টি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (ওপিভি) বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান, পাঁচটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা, বিসিজিএস অপারেজয় বাংলা ও বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা, দু’টি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট (এফপিভি) বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া এবং বিসিজি বেইজ ভোলা। কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কোস্টগার্ড বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় অতন্দ্র প্রহরীর কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com