র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, ডাকাতি, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই চক্রের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছিল। ছিনতাই/ডাকাত দলের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রাঘাত করে, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ী, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই/ডাকাতি করে জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকয় ছিনতাই/ডাকাতি সংঘটন করে থাকে। তাদের ছিনতাই/ডাকাতির ভয়ে এলাকার লোকজন সর্বদা আতংকে থাকে। র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন দীর্ঘ দিন যাবৎ উক্ত চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আরিচপুর এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার/ফোর্সসহ জিএমপি, গাজীপুর টঙ্গী থানাধীন পূর্ব আরিচপুর সাকিনস্থ নতুন বাজার রেলগেইট প্রিন্স টেনলার্স এন্ড ফেব্রিক্স এর সামনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু এর নিচে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ধৃত আসামী ১। মোহাম্মদ আলী (২৭), পিতা-মৃত আক্কাছ আলী, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম, সাং-আমতলী কেরানীটেক, থানা-টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর, ২। মোঃ মাসুদ(২৫), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, মাতা-মোসাঃ রাবেয়া বেগম, সাং-গলাকাঠি, থানা-বকসিগঞ্জ, জেলা-জামালপুর, এ/পি-সাং-মরকুন পশ্চিমপাড়া (দুধু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর, ৩। মোঃ মেহেদী হাসান(২২), পিতা-মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাতা-মৃত রুমা বেগম, সাং-কাচারীকান্দী, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী, এ/পি-সাং-মরকুন মীরের পাড়া (ওয়াহিদ মাতুব্বর এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর, ৪। মোঃ মিজানুর রহমান(২০), পিতা-মৃত গাজী সুলতান, মাতা-মোসাঃ মজিনা বেগম, সাং-কলাপাড়া, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর, এ/পি-সাং-আমতলী (সাংবাদিক রুমান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর’দেরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে সঙ্গীয় অফিসার/ফোর্সের সহায়তায় ধৃত আসামীদের দখল হইতে ০২টি চাপাতি, ০১টি চাকু এবং ০৩ টি মোবাইল ফোনসহ উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা অপরাপর সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায় সাধারণ পথচারী, বাসযাত্রী এবং মটর সাইকেল আরোহীদের মারধর এবং অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ী, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই/ডাকাতি করে আসছে। এছাড়াও তারা জানায়, অপরিচিত কেহ তাদের এলাকায় নতুন আসলে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কৌশলে ছিনতাই/ডাকাতি কার্যক্রম করে এবং তাদের ছিনতাই/ডাকাতির কাজে বাধা দিলে সাধারণ পথচারীদেরকে উক্ত অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে মালামাল লুট করে আসছে।