বরিশাল নগরীর সদর রোড-লঞ্চঘাট সড়কের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে সামনে নিয়মিত বসছে সবজি ও মাছের ভাসমান বাজার। এতে নোংরা হচ্ছে নগরের পরিবেশ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল। সড়কের ওপর এ বাজার বসা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চালকদের সঙ্গে সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীর মাঝেমধ্যে ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কোনো ভূমিকা রাখছে না বলে নগরবাসীর অভিযোগ। স্থানীয়রা জানায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। এই সড়কের পাশেই নগর ভবন, আদালতপাড়া, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জোনাল পোস্ট অফিসসহ সরকারি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও আদালতপাড়ার মাঝখানে অস্থায়ী কাচাবাজার ও মাছের বাজার বসছে। সড়কের ওপর এ বাজারের কারণে প্রতিদিন যানজট এতটাই তীব্র হয় যে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের প্রায় অর্ধেকটা দখল করে চলছে সবজি ও মাছ কেনাবেচা। ক্রেতাদেরও বেশ ভিড় জমেছে এই ভাসমান বাজারে। এতে সড়কটি সংকুচিত হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বাজারের বিভিন্ন দোকানের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সেখানে নাকে রুমাল চেপে চলতে হয়। এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান তালুকদার। তিনি জানান, সড়ক ও ফুটপাত সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা ভাসমান বাজারের দখলে চলে গেছে। এর ফলে নাগরিক সুবিধা নষ্ট হচ্ছে। নোংরা হচ্ছে শহর। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। অনতিবিলম্বে এই সড়কের ওপর ভাসমান বাজার বসা বন্ধ করা উচিত। বাজারে আসা ক্রেতা আয়েশা খাতুন বলেন, মাছ বাজার বসায় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। হেঁটে যাওয়ার সময় মাছের পানি গায়ে এসে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) হাটবাজার শাখার পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে ভাসমান বাজার উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আবেদন করেছেন। যা বিসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শাখায় প্রক্রিয়াধীন আছে। মেয়র মহোদয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।